|
|
|
|
টুজি কাণ্ড নিয়ে জেপিসি রিপোর্ট স্পিকারকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
লোকসভা ভোটের পাঁচ মাস আগেই টুজি কেলেঙ্কারিতে নিজেদের হাত ধুয়ে ফেলতে চাইলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট আজ লোকসভার স্পিকার মীরা কুমারের কাছে পেশ করেন কমিটির চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস নেতা পি সি চাকো। রিপোর্টে এক দিকে যেমন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে, তেমনই কেলেঙ্কারির সব দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা এ রাজার উপর। টুজি কেলেঙ্কারির জন্য সরকারের ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল যে রিপোর্ট দিয়েছিল, তাও নাকচ করে দিয়েছে জেপিসি।
এই টুজি রিপোর্ট চূড়ান্ত করার সময়ই প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি। বিজেপি, বাম-সহ ছ’টি রাজনৈতিক দল এ নিয়ে নোটও দেয়। জেপিসি-র চেয়ারম্যান সেই নোট আজ স্পিকারের কাছে পেশ করেছেন। তবে কমিটিতে শাসক জোটের সদস্য বেশি থাকায় রিপোর্ট চূড়ান্ত করতে বেগ পেতে হয়নি পি সি চাকোকে।
জেপিসি রিপোর্টে আখেরে কোনও লাভ হল না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এর পরও প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বিজেপি। তেমনই সরকার পক্ষ সংসদীয় রিপোর্টে নথিভুক্ত করার সুযোগ পেল যে সিএজির রিপোর্টে ভুল ছিল। সরকারের কোনও নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য লাভ হল না ক্ষতি, টাকার অঙ্কে তার হিসেব হয় না। জেপিসি গঠনের সময়েই স্থির হয়েছিল যে এনডিএ আমলের টেলিকম নীতি নিয়েও তদন্ত হবে। আজ স্পিকারের কাছে চাকো যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, এনডিএ আমলে ভ্রান্ত টেলিকম নীতি এবং অনিয়মের জন্য সরকারের ক্ষতি হয়েছিল ৪৩ হাজার কোটি টাকা। স্বাভাবিক ভাবেই এর তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি নিয়ে আদালতে মামলা এখনও চলছে। সিবিআই চার্জশিট জমা দিয়েছে।
|
পুরনো খবর: জেপিসি-র কাছে বয়ান দিতে ইচ্ছুক, জানালেন এ রাজা |
|
|
|
|
|