দুর্গাপুজোর মণ্ডপে যুবতীকে যৌন নির্যাতন করে খুনের অভিযোগের ঘটনার ১৫ দিন পরেও অভিযোগের প্রতিলিপি পুলিশ পরিজনদের দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহতের এক আত্মীয়ের ক্ষোভ, “ঘটনার পরই গঙ্গারামপুর থানায় ভাইঝিকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ করা হয়। এরপর অভিযোগের প্রতিলিপি নিতে থানায় গিয়েছি। তা পাইনি।” তাঁর অভিযোগ, এ বিষয়ে কারও কাছে কোনও সদুত্তর মেলেনি। ঠিক কী কী ধারায় মামলা রুজু হয়েছে তাও বোঝা যাচ্ছে না। প্রতিলিপি পেলে তা স্পষ্ট হত। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বলেছেন, “ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করে তদন্ত চলছে। তদন্তে সব বার হয়ে আসবে।” বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি বলেন, “তদন্ত চলাকালীন নির্যাতনের বিষয়টি চলে আসতে পারে। তখন চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওই ধারা যুক্ত হবে না, এমন নয়।” গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী জনার্দন সিংহের বক্তব্য, “যে কোনও ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্তে পুলিশ বাধ্য।” আইনজীবী রঞ্জন পান্ডের মতে, “প্রথমেই পরিবারের তরফে যৌন নির্যাতন কিংবা খুনের অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশকে সেইমতো ধারা প্রয়োগ করে মামলার তদন্ত করতে হবে। এটাই আইনের শর্ত। পুলিশ যৌন নির্যাতনের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগের কথা শুনেছি। পুলিশ এখনও স্পষ্ট করে আদালতে অনেক কিছুই জানায়নি।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা আইন পরিষদীয় সচিব বিপ্লব মিত্র বলেন, “আইন মেনে তদন্ত করে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দিতে বলা হয়েছে।”
|