এক মহিলা যাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক টিকিট পরীক্ষককে পুলিশ ধরেছে। সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ মালদহ টাউন স্টেশনের কাছে গুয়াহাটিগামী ব্রহ্মপুত্র মেলের ঘটনা। অভিযোগকারির স্বামী সেনা বাহিনীকে কর্মরত। ঘটনার পরে ট্রেনের যাত্রীরা ১ ঘণ্টা স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান। ট্রেনটি দু’বার মালদহ রওনা হয়ে এগোতে পারেনি। দু’বারই চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ টিকিট পরীক্ষককে গ্রেফতার করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে ভোর পৌনে ৫ টা নাগাদ ব্রহ্মপুত্র মেল মালদহ টাউন স্টেশন ছাড়ে।
দুপুরে ধৃত টিকিট পরীক্ষক নির্মল কুমার ওঝাকে আদালতে তোলা হয়। মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এ দিন অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন। মালদহের ডিআরএম রবীন্দর গুপ্ত বলেন, “ট্রেনেযাত্রীদের সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব টিকিট পরীক্ষকের। যাত্রীদের সুরক্ষিত করার পরিবর্তে একজন টিকিট পরীক্ষক মহিলা যাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। বিভাগীয় তদন্ত হবে। প্রয়োজনে টিকিট পরীক্ষককে সাসপেন্ড করা হবে।” অভিযুক্ত টিকিট পরীক্ষক নির্মল কুমার ওঝার দাবি, “আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। ওই মহিলার গায়ে হাত দিইনি। ভুল বোঝাবুঝিতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।”
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দিল্লি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে ফিরছিলেন এক জন সেনা অফিসার। তিনি সাইড আপার বার্থে ও স্ত্রী সাইড লোয়ার বার্থে শুয়ে ছিলেন। তিলডাঙা ও ফরাক্কা স্টেশনের মাঝে রাত পৌনে ২টো নাগাদ সেনা অফিসারের স্ত্রীর চিৎকারে কামরার সমস্ত যাত্রী জেগে ওঠেন। তারা আলো জ্বালালে টিকিট পরীক্ষক পাশের কামরায় চলে যান। স্ত্রীর মুখে শ্লীলতাহানির কথা শুনে ফেটে পড়েন ওই সেনা অফিসার ও কামরার যাত্রীরা। কয়েক জন সহযাত্রী পাশের কামরায় ছুটে গিয়ে অভিযুক্ত টিকিট পরীক্ষককে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। ট্রেন পাহারায় থাকা পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। টাউন স্টেশন রেল পুলিশ ইন্সপেক্টর সুজিত ঘোষ বলেন, “ধৃত টিটি বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করা হয়েছে।” |