বড় রাস্তা থেকে ছোট গলি, রাস্তার বাঁকে বাঁকে বেঞ্চ পেতে চলছে চাঁদা সংগ্রহ। কোথাও লাঠি হাতেও দাঁড়িয়েও চাঁদা তুলছে এক দল যুবক। ট্রাক থেকে ছোট গাড়িরেহাই পাচ্ছে না কেউ। অভিযোগ, চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ি আটকে রাখা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে হুমকি। এ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে কোচবিহার জেলা ট্রাক মালিক সমিতি। পুলিশের দাবি, কয়েকদিনের অভিযানে গাড়ি আটকে চাঁদা তোলায় ৪ জনকে ধরা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “প্রতিটি রাস্তা ও গলিতে টহলদারি ভ্যান সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সাদা পোশাকের পুলিশও নজরদারি করছে। চাঁদার জুলুমবাজির অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ট্রাক মালিক সমিতির পক্ষে মান্না দে বলেছেন “কোচবিহার জেলায় দুর্গা পুজোর থেকে কালী পুজো বেশি হয়। সব জায়গায় গাড়ি আটকে জোর করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সুপারকে সব বলেছি।”
কোচবিহার শহর থেকে মাথাভাঙা যাওয়ার রাস্তায় অন্তত ৩০টি পুজো রয়েছে। ওই রাস্তা সংলগ্ন গলিগুলিতেও অসংখ্য পুজো হচ্ছে। একই অবস্থা কোচবিহার শহর থেকে দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা যাওয়ার রাস্তায়। ছোট গাড়ির চালক জানান, প্রধান সড়কে চাঁদার জুলুম এড়াতে গলিপথ ধরলেও লাভ হয়নি। মাথাভাঙা থেকে পখিহাগা যাওয়ার রাস্তায় ৩টি পুজো কমিটি চাঁদা তুলছে বলে অভিযোগ। এক গাড়ির চালক বলেন, পখিহাগা যাওয়ার সময় এক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পুলিশের কথা বললে উল্টে হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশ কিছু করতে পারবে না বলেও যুবকেরা শাসায়। শেষে ১০০ টাকা দিয়ে ছাড় মেলে। ট্রাক চালক জানান, মাথাভাঙা যাওয়ার রাস্তায় সুটকাবাড়ি পার হয়ে একটি জায়গায় দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়। ৫০ টাকা দেওয়ায় ছেড়ে দেয়।
পুলিশের দাবি, জোর করে চাঁদা আদায়ের খবর আসছে। দু’দিন আগে সকালে সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীরা টহলদারির সময় চাঁদা আদায়কারীর সামনে পড়ে। চার জনকে ধরা হয়। পুজো কমিটিগুলির দাবি, জোর করে নয়, টাকা চেয়েই নেওয়া হচ্ছে। |