আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী পুলিশ ও প্রশাসন। গত রবিবার মহকুমার এক মাত্র আলুর হিমঘরে অভিযান চালান মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি এবং এসডিপিও অরিন্দম সরকার। একাধিক অসঙ্গতির জন্য ১ নভেম্বর থেকে হিমঘরটিকে সিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি আলুর বাজার নিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে মালবাজার ব্লকের ক্রান্তির ওই হিমঘরে একাধিক অনিয়ম নজরে পড়ে।
মহকুমাশাসক জানান, হিমঘর চালানোর জন্য কৃষি বিপণন দফতরের যে অনুমোদনের দরকার, এর তা নেই। পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির কাছে আলুর কুইন্ট্যাল প্রতি ১ টাকা করে যে টাকা দিতে হয়, সেই টাকাও আজ অবধি দেওয়া হয়নি। এরই সঙ্গে চাষি নন এমন লোক ২০০ কুইন্ট্যালের বেশি আলু কিনে হিমঘরে রেখেছেন। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত হিমঘরের আলুর স্টক শেষ করার নির্দেশ রয়েছে। সেখানে এই হিমঘরে এখনও ৫০ শতাংশ আলুই বস্তাবন্দি। তাই হিমঘরটি সিল করা হচ্ছে।
হিমঘরটির ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার ফটিক বিশ্বাস জানান, হিমঘরটির প্রয়োজনীয় অনুমোদন রয়েছে কি না তা মালিক জানেন। হিমঘরে বেশিরভাগই বীজের জন্য ব্যবহৃত আলু মজুত রয়েছে। এই আলুর বাজারে তেমন চাহিদা নেই। মহকুমাশাসক জানান, দ্রুত ক্রান্তির হিমঘর থেকে কৃষকদের আলু বার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১ নভেম্বর আলু থাকলে তা বাসিন্দাদের মধ্যে ন্যায্য মূল্যে বিলি করে দেওয়া হবে। আর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অরিন্দম সরকার জানান, হিমঘরটির উপর নজরদারি শুরু হয়েছে। ১ নভেম্বর অবধি যাতে ফড়ে বা দালালেরা আলু বার করতে না পারে তা দেখা হবে। মালবাজারের বিভিন্ন বাজারে সোমবার আলুর দাম ২৪-২৬ টাকা প্রতি কিলো বিক্রি হয়েছে। আলু ব্যবসায়ী মদন পোদ্দার জানান, দাম বাড়ায় ক্রেতা আলু কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। প্রশাসন উদ্যোগী হলে আলুর বাজার ঠিক হবে। এ দিনও মালবাজারে আলুর পাইকারি বাজারে দর ছিল কেজি প্রতি ১৭ টাকা। এদিন বিকালে আলুর ও অন্য সব্জির দাম নিয়ে মহকুমাশাসক তিন বিডিও ও তিন থানার ওসিদের নিয়ে বৈঠক করেন। মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, এ কাজের জন্য দুটি টাস্ক ফোর্স গড়া হয়েছে। |