রাজ্যের ১১টি জেলায় ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সোমবার জানান, রাজ্যে এখন এক কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড রয়েছে। সেগুলি বাতিল করতেই খাদ্য দফতর ডিজিটাল রেশন কার্ড করছে। এই কাজ চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। আজ, মঙ্গলবার থেকে ওই জেলাগুলির ২০ হাজার ১৮৬টি রেশন দোকানে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গ্রাহকের পুরনো রেশন কার্ডের ভিত্তিতে নয়া ডিজিটাল কার্ড-এর নথি সংগ্রহ করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “এক কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করা গেলে প্রতি মাসে রাজ্য সরকারের ৬০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। অর্থাৎ, বছরে রাজ্য সরকারকে ওই খাতে ৭২০ কোটি টাকা কম ভর্তুকি দিতে হবে।” তিনি বলেন, এখন ওই ভুয়ো কার্ডে যে হেতু রেশনে নানা সামগ্রী তোলা হয়, তাই তার জন্য সরকারকে ভর্তুকিও দিতে হয়।
খাদ্য দফতরের খবর, আজ, মঙ্গলবার থেকে হাওড়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, উত্তর ২৪ পরগনা (পুর এলাকা বাদ দিয়ে), বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও হুগলিতে ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, যাঁদের এখন রেশন কার্ড রয়েছে, তাঁরা সবাই যে ডিজিটাল রেশন কার্ড পাবেন, এমন নিশ্চয়তা নেই। জাতীয় জনসংখ্যা নথি (এনপিআর, যার ভিত্তিতে আধার কার্ড হচ্ছে) এবং রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতরের তৈরি আর্থ-সামাজিক ও জাতি সংক্রান্ত নথি (সোসিও ইকনোমিক কাস্ট সার্ভে কিংবা এসইসিএস)-র কোনও একটিতে নাম থাকলে তবেই ডিজিটাল রেশন কার্ড পাওয়া যাবে।
এগোরেটি জেলা থেকে (এনপিআর এবং এসইসিএস) খাদ্য দফতরে পৌঁছেছে। ওই দুই তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও যাঁদের রেশন কার্ড নেই, তাদের রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য ১০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে। মন্ত্রী জানান, অন্য জেলাগুলি থেকেও ওই তথ্য মিললে সেখানেও ডিজিটাল কার্ডের কাজ শুরু হবে।
কী থাকবে ডিজিটাল রেশন কার্ডে? পরিবারের সব সদস্যের নাম, ঠিকানা, বয়স এবং পঞ্চায়েত দফতরের তৈরি এসইসিএস তথ্য অনুযায়ী তাঁর আর্থ সামাজিক অবস্থানের কথা।
কী ভাবে ডিজিটাল কার্ড পাওয়া যাবে? সব সদস্যদের রেশন কার্ড নিয়ে পরিবারের কেউ সেই রেশন দোকানে, যেখান থেকে তাঁরা খাদ্যসামগ্রী নেন। সেখানে সরকার নিযুক্ত কর্মীরা তথ্যগুলি কম্পিউটারে নথিভুক্ত করবেন। ডিজিটাল কার্ড তৈরি হয়ে গেলে পুরনো কার্ডটি জমা দিয়ে সেটি পাওয়া যাবে। আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়া শুরু হবে। |