চুক্তি থাকায় মাইনে পাবেন ঠিক। কিন্তু আইএমজি -আরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ফুটবলাররা আগামী ন’মাস আই লিগ-সহ কোনও টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাবেন কি?
আইএমজি আরের প্রস্তাবিত সুপার লিগ অনেকটাই পিছিয়ে যাওয়ার পর সুব্রত পাল, গৌরমাঙ্গী সিংহ, নির্মল ছেত্রী, সঞ্জু প্রধান-সহ প্রায় ষাট জন ফুটবলারের জীবন হঠাৎই প্রশ্নচিহ্নের সামনে। বছর দেড়েক যদি কোনও টুর্নামেন্ট খেলতেই না পারেন তা হলে দীর্ঘ বিরতির পরে মাঠে নেমে কতটা সফল হবেন? জাতীয় দলে নিজেদের দাবিই বা কী ভাবে প্রতিষ্ঠিত করবেন?
এই পরিস্থিতিতে রহিম নবি, মণীশ মৈথানি, মেহরাজউদ্দিন, ইসফাক আমেদ ‘বেঁচে’ গিয়েছেন মহমেডান তাঁদের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলায়। প্রীতম কোটাল, সৌভিক ঘোষ-ও ‘রক্ষা’ পেয়েছেন মোহনবাগান তাঁদের সই করানোয়। কিন্তু বাকিরা? খেলবেন কোথায়?
ভারতীয় ফুটবলের এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার ক্লাব জোটের সভা বসছে মধ্য কলকাতার এক ক্লাবে। সেখানে ঠিক হবে, আই লিগের ক্লাবগুলি আইএমজি-আরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের নেবে কি না? কিন্তু নিতে চাইলেও কত জনের জায়গা হবে? কারণ ইতিমধ্যেই প্রায় সব টিমই তিরিশ জনের কোটা প্রায় পূরণ করে ফেলেছে। সবথেকে বেশি ফাঁকা জায়গা আছে ইউনাইটেডে। আট জন প্লেয়ারের। সুপার লিগ আপাতত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্লাবগুলোর হাতেই সুব্রত-সঞ্জুদের ভাগ্য। কিন্তু জোটেও সমস্যা আছে। আজকের সভায় মোহনবাগান, মহমেডানের প্রতিনিধি আসেন কি না তার দিকে তাকিয়ে সবাই। দু’টো ক্লাবই জোটের শর্ত ভেঙে ফুটবলার নিয়েছে।
পুরো পরিস্থিতিতে সবথেকে বেকায়দায় ফেডারেশন। তাদের কোনও কর্তাই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ। কারণ স্পনসরদের বিরুদ্ধে কেউই প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ। হতাশ এক কর্তা দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, “সুপার লিগ পিছিয়ে যাওয়ায় দেশের বহু ফুটবলারের পেশাদার জীবন বিপন্ন। টাকা ওরা পাবে ঠিক। কিন্তু টাকাই তো সব নয়। না খেললে তো পায়ে মরচে ধরে যাবে!” পরিস্থিতি যা তাতে ক্লাব জোট রাজি হলে জনা কুড়ি ফুটবলারের ভাগ্যে হয়তো শিকে ছিঁড়বে। আর বাকিদের জায়গা হবে হয়তো আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে।
কিন্তু শুধু কি গোয়া এবং বেঙ্গালুরুর মাঠ সমস্যার জন্যই পিছিয়ে গেল ক্রিকেট আইপিএলের ঢঙে শুরু হতে যাওয়া এ দেশের পেশাদার ফুটবল টুর্নামেন্ট। শোনা যাচ্ছে, কয়েকশো কোটি টাকা দিয়ে টিভি স্বত্ব কেনা চ্যানেল টুর্নামেন্ট বিপননের জন্য আরও সময় চাইছে। সে জন্যই পিছিয়ে দেওয়া এই অভিনব টুর্নামেন্ট। তবে মুম্বইয়ে আইএমজি -আরের একটি সূত্র জানাচ্ছেন, আইকন ফুটবলার হিসাবে যাঁদের আনার কথা ভেবেছিলেন সংগঠকরা তাঁদের পাওয়া যাচ্ছে না। তালিকায় নাম ছিল রাউল, রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহো, থিয়েরি অঁরির মতো প্রাক্তন মহাতারকাদের। যাঁদের দেখতে প্রচুর দর্শকরা আসতেন। পরের বছর জুনে ফিফার দলবদলের দরজা খুলবে। সেপ্টেম্বরে সুপার লিগ পিছিয়ে যাওয়ায় বিশ্বকাপ তারকাদের তখন পেতে অসুবিধা হবে না। টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ নাকি এটাও।
|
পুরনো খবর: পিছিয়ে গেল আইএসএল |