টুকরো খবর
এক সময় কালীপুজোর রাতে বাড়ি আলোকিত করত মাটির প্রদীপ। এক তলা বাড়ির রেয়াক থেকে দোতালার বারান্দায় সারি দিয়ে প্রদীপ জ্বলে থাকতে দেখা যেত। এখনও প্রদীপ জ্বলে থাকে। কিন্তু সেগুলি মাটির নয়, প্রদীপের মত দেখতে বিদ্যুত আলো বা বাহারি আলোর মালা। আশেপাশের জেলাতেও এখন বৈদ্যুতিক আলোই দীপাবলিতে বহুল প্রচলিত। এর জেরে মাথায় হাত পড়েছে মৃৎশিল্পীদের। কোচবিহারের বাণেশ্বরে মৃৎশিল্পী খোকা পাল, আরতি পাল, দলেন্দ্র পাল, সুরবালা পালরা জানান, প্রদীপ তৈরির জন্য যে মাটির দরকার হয়, সেই মাটি এখন চিলাখানা থেকে ভ্যা নরিকশা ভাড়া করে আনতে হয়। তাতে এখন খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়। প্রদীপ পাল বলেন, “৩ জনের সংসার সবাই মিলে মাটির প্রদীপ তৈরি করি। পাশাপাশি মাটির আরও নানা জিনিস তৈরির কাজ করি, তাতে খুব বেশি রোজগার হয় না।” আর এক শিল্পী গোবিন্দ পালের কথায়, “এখন বৈদ্যুতিক আলোর দাপটে মাটির প্রদীপের চাহিদা কমে গিয়েছে। তাই দামও পাচ্ছি না।” একসময় বানেশ্বরে মাটির প্রদীপের বিপুল চাহিদা ছিল। গত কয়েক বছর ধরেই টুনি আলো থেকে বৈদ্যুতিক প্রদীপের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। কোচবিহার শহরের বৈদ্যুতিক সামগ্রী বিক্রির এক পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, “ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ টাকার উপরে রকমারি আলোর জিনিসপত্র বিক্রি হয়েছে।” অন্যদিকে, মৃৎ শিল্পীদের আক্ষেপ, এভাবে চললে মাটির প্রদীপ আর খুব বেশি দিন পাওয়া যাবে না।

ব্যবসায়ীর নালিশ
ভয় দেখিয়ে গুদাম থেকে লক্ষাধিক টাকার চামড়া তুলে নিয়ে আসার অভিযোগে চাঁচলের এসডিপিও-র বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ এক ব্যবসায়ী। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি চামড়া উদ্ধার করতে রাজ্য পুলিশের ডিজি, আইজি (উত্তরবঙ্গ), ডিআইজি (মালদহ)-সহ জেলার পুলিশ সুপারেরও কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি। মালদহের চাঁচলের স্বরূপগঞ্জে গত ১৭ অক্টোবর রাতে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ মালদহের মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স। এ দিকে অভিযুক্ত এসডিপিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওই ব্যবসায়ীর দাবি, চাঁচল থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও তা না নেওয়ায় অভিযোগ রেজিস্ট্রি চিঠির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী সহ সর্বস্তরে জানিয়েছেন। মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগটি মারাত্মক। তবে আমি এখনও অভিযোগ পাইনি। তা পেলে গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখব।” আর চাঁচলের এসডিপিও পিনাকী রঞ্জন দাস বলে, “কেউ অভিযোগ করতেই পারেন। আমি তো কাউকে আটকাতে পারি না। আর সব কিছুই জবাব দেওয়া যায় না। তদন্ত হলে সব পরিষ্কার হবে।” ওই ব্যবসায়ীর দাবি, গুদাম থেকে চামড়া তুলে নিয়ে আসার সময় এসডিপিও-র সঙ্গে ছিলেন চাঁচলের আইসি জয়ন্ত লোধ চৌধুরীও। তিনি বলেন, “পরিবেশ দূষণের অভিযোগ পেয়ে এসডিপিও সেখানে যান। আমিও ছিলাম। চামড়া বাজেয়াপ্ত না করায় সিজার লিস্ট দেওয়া হয়নি। তা তুলে এনে পরে ফেরতও দিয়ে দেওয়া হয়। মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। হুমকি বা ভয় দেখানোর বিষয়ই নেই।” ব্যবসায়ী নীলকান্ত রবিদাস বলেন, “দূষণের অভিযোগ হতেই পারে। কিন্তু পুলিশ তো দুষ্কৃতীদের মত আচরণ করছে। এসডিপিও-র কাছে কারণ জানতে চাওয়ায় মাথায় রিভলবার ঠেঁকিযে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। ঋণ নিয়ে ব্যবসা করি। বাধ্য হয়েই মুখ্যমন্ত্রী-সহ বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেছি।”

বাণিজ্য বিপর্যস্ত
রবিবার থেকে ৩ দিনের বাংলাদেশ বন্ধে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিতে আমদানি-রফতানি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিপাকে ব্যবসায়ী। বাংলাদেশের বিরোধী দল ৭২ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিয়ে আন্দোলনে নামায় হিলি আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে বহির্বাণিজ্যের শতাধিক পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ থাকায় গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ সহ কাঁচামালের ট্রাক হিলিতে আটকে পড়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। হিলি এক্সপোর্টাস এণ্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক মণ্ডল বলেন, “৩ দিনের বন্ধে অন্তত প্রায় ২৩ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছি।”

ধৃত স্বামী
বধূর অপমৃত্যুতে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর গঙ্গারামপুর থানার ফুলবাড়ি পালসা গ্রামে। গত শনিবার রাতে মামণি বিবির (২২) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার ভাই নূর হাসান জানান, পণ চেয়ে মামনির উপরে অত্যাচার হত। অভিযোগের ভিত্তিতেই বধূর স্বামীকে এদিন গ্রেফতার করে পুলিশ।

ট্রেনে কাটা
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি থানার চকসাদুল্লায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, তার নাম প্রকাশ মণ্ডল (২৬)।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.