রোদ উঠল, বাড়ি ভাঙল
বৃষ্টি থামতেই জল নামতে শুরু করেছে। কিন্তু রবিবার রোদ উঠতেই বৃষ্টিতে ভিজে থাকা বেশ কিছু কাঁচাবাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভাঙতে শুরু করেছে। খাতড়ার মহকুমাশাসক শুভেন্দু বসু বলেন, “মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে প্রায় ১১৫০টি কাঁচা বাড়ি আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারমধ্যে ৮০টি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।” তিনি জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সারেঙ্গা ব্লকে। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।
বিষ্ণুপুরের চৌকান গ্রামে।—নিজস্ব চিত্র।
এ দিন সকালে সারেঙ্গার গুড়েপাড়া, গাংনালা গ্রাম পরিদর্শনে যান রাজ্যের শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দুর্গতদের সাহায্যের আশ্বাসও দেন। বাড়ি ভেঙেছে বিষ্ণুপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতেও। শনিবার রাতে বিষ্ণুপুর থানার মড়ার অঞ্চলের চৌকান গ্রামে একটি বাড়ি ভেঙে যায়। পরিবারের কর্তা লক্ষ্মী লোহার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পাশের প্রাথমিক স্কুলে আশ্রয় নেন। পাত্রসায়রের বিডিও অপূর্বকুমার বিশ্বাস বলেন, “আমাদের ব্লকে প্রায় ৫৫০টি কাঁচা বাড়ি আংশিক ভাবে ভেঙে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হামিরপুর ও নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের দামোদর এবং শালি নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলি। দুর্গত পরিবারগুলিকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।” বাড়ি ভাঙার খবর এসেছে বাঁকুড়া মহকুমার গ্রাম থেকেও।
মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে ছাড়া জলে খাতড়ার কেচোন্দাঘাটে কংসাবতীর জল কজওয়ের উপর দিয়ে এ দিনও বইতে থাকে। ফলে খাতড়া থেকে সাহেববাঁধ হয়ে রানিবাঁধ ও রাইপুর যাওয়ার রাস্তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে দক্ষিণ বাঁকুড়ার অন্য এলাকায় নদী ও খালের জল নেমে যাওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.