আগে থেকেই ফাটল ছিল। শনিবারের বৃষ্টিতে কার্যত ধসে পড়ল সাতটি বাড়ি। শনিবার রাতে ডায়মন্ডহারবার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। রবিবার দুপুর ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার, পুরপ্রধান মীরা হালদার ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী। পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে লেনিননগর গ্রাম। ডায়মন্ড হারবার-হুগলি নদী-সংলগ্ন মগরাহাট খাল রয়েছে। সেই খালের বাঁধে বহু দিন ধরে রয়েছেন বেশ কিছু জন। সেচ দফতর থেকে অনেক দিন আগেই পাট্টা পেয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে গড়ে উঠেছে একতলা, দোতলা ঘরবাড়ি। দিন পনেরো আগে খাল পাড়ের ওই ১৬টি বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা যায়। শনিবারের বৃষ্টিতে ধসে পড়ে ৭টি বাড়ি। |
বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে আরও ৯টি বাড়ি। ইতিমধ্যেই সব বাড়ি খালি করে দেওয়া হয়েছে। শনিবারের ধসে গৃহহারা সনাতন দাস, বিশু দাস ও বাবলু দাসরা বলেন, “প্রায় ৪০ বছর ধরে এখানে আছি। সরকারি আইন মেনে পাট্টা দেওয়া হয়েছে।” বিধায়ক দীপক হালদার বলেন, “খালের পাড়টি দ্রুত বাঁধার জন্য সেচ দফতরকে বলেছি। জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে।” সুজনবাবুও বলেন, “খাল পাড় সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসন ও সেচ দফতরকে বলেছি।” মহকুমা সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার প্রদীপ হালদার বলেন, “দিন কয়েক আগে পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, বস্তায় মাটি ভরে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হবে। তবে এখন যা অবস্থা দেখছি, তাতে এখনই সেই কাজ শুরু করতে হবে।” |