জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর জল সরবরাহের কোনও উদ্যোগ নেয়নি। গ্রামে জলের পাইপ লাইনও তাই নেই। অধিকাংশ নলকূপই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এই অবস্থায় পানীয় জলের অভাবে সঙ্কটে পড়েছেন ভরতপুর-১ ব্লকের তালগ্রাম গ্রামের দেচাপড়া গ্রামের হাজার চারেক বাসিন্দা।
ওই গ্রামে পা রাখতেই শোনা যায় পানীয় জলের জন্য হাহাকার। এক সময় গ্রামে ১৪টি নলকূপ ছিল। সেগুলি অধিকাংশ থেকেই এখন আর জল মেলে না। বর্তমানে সাকুল্যে মোট ৪টি নলকূপ থেকে জল পড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নলকূপ সারানোর ব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েত ‘হচ্ছে, হবে’ বলেই দায় সারে। কাজের কাজ কিছুই হয় না। সারা গ্রামে মাত্র ৪টি নলকূপ থাকায় জল সংগ্রহের জন্য লম্বা লাইন পড়ে। অনেকেই বাধ্য হয়ে পড়শিদের বাড়ি থেকে অগভীর নলকূপের জল সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এলাকার বাসিন্দা মেহেরুন বিবি বা কোহিনুর বিবিরা বলেন, “গৃহস্থালির কাজ সামলে পানীয় জল আনতে ভিন পাড়ায় ছুটতে হয়। সেখানেও আবার জলের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়।”
গেল পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বাসিন্দারা অবশ্য ভেবেছিলেন এ বার হয়ত নলকূপগুলি মেরামতিতে হাত লাগাবে পঞ্চায়েত। কিন্তু সে আর হয়নি। গ্রামবাসী পত্তন শেখ ও মিঠুন শেখরা বলেন, “ভোটের সময় নলকূপগুলি মেরামতির ব্যাপারে অনেক আশ্বাস মিলেছিল। কিন্তু বাস্তবে আর সে সব হল না। টানা ৫ বছর ধরে এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট চলছে। রাজনৈতিক নেতারা দেখেও দেখেন না।”
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আরএসপি-র হবিবুর খান বলেন, “জলের সমস্যা সমাধানের কথা প্রধানকে বারবার জানালেও তিনি তা কানে তোলেন না।” তালগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের মামলত শেখের সাফাই, “শুধু দেচাপড়া গ্রামেই নয়, গোটা অঞ্চলেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।” ভরতপুর-২ ব্লকের বিডিও প্রমিত দাস বলেন, “ওই গ্রামে এতগুলি নলকূপ বিকলের কথা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”
ফের আশ্বাস মিলেছে। প্রতিশ্রুতি শুনে শুনে ক্লান্ত দেচাপড়ারর বাসিন্দারা। তাই আড়ালে আবডালে অনেকেই বলছেন, ‘না আঁচালে বিশ্বাস নেই।’ |