মরসুমের শেষ টুর্নামেন্টেও বিতর্ক এড়াতে পারলেন না সেরেনা উইলিয়ামস। মারিয়া শারাপোভার প্রেমিককে নিয়ে মন্তব্য করায় উইম্বলডনে নামার আগেই মহাবিতর্ক লেগে গিয়েছিল দুই টেনিস তারকার মধ্যে। পরে রুশ তারকার কাছে ক্ষমা চেয়ে সমস্যা মিটিয়ে নেন সেরেনা। এ বার ডব্লিউটিএ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে তাঁর বিরুদ্ধে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করার অভিযোগ আনলেন ইয়েলেনা ইয়াঙ্কোভিচ।
বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর ইয়াঙ্কোভিচকে তিন সেটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠেন সেরেনা। ম্যাচের পর যদিও সার্বিয়ান তারকার অভিযোগে সেরেনার ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। ইয়াঙ্কোভিচ অভিযোগ করেন, ইচ্ছা করেই তাঁর মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন সেরানা।
কী ভাবে? ম্যাচ চলাকালীনই সেরেনার হাবে-ভাবে মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল তিনি প্রচণ্ড ক্লান্ত। কখনও চোখের জল মুছছেন, কখনও চেঁচাচ্ছেন, কখনও হাত নাড়ছেন বা ঝুঁকে পড়ছেন। র্যালির মধ্যেও সেরেনার শটের গতিতে হেরফের ছিল। এই নিয়েই লাগে ইয়াঙ্কোভিচের সঙ্গে। |
|
|
যুযুধান। ইয়েলেনা-সেরেনা। |
|
সার্বিয়ান তারকা বলে দেন, “ম্যাচটায় যখন ও এগিয়ে ছিল তখন কিন্তু এ সব করতে এক বারও দেখিনি। যখন ও এগিয়ে থেকেছে, শট মারতে ছুটোছুটি করেছে, জোরালো সব সার্ভ করেছে। যখনই পিছিয়ে পড়ছিল, তখনই যেন স্লো মোশনে সার্ভ করছিল। শট মারতে বলের পিছনে ছুটছিল না।” সঙ্গে ইয়াঙ্কোভিচ আরও যোগ করেন, “এর আগেও ও এ রকম করেছে। এ ভাবেই ও খেলে। কিন্তু এতে বিপক্ষের খুব সমস্যা হয়। বোঝা যায় না পরের সার্ভটা জোরে করবে না আস্তে। ম্যাচে ফোকাস করা যায় না। আমার মনে হয় কোর্টে নামলে হারুক বা জিতুক প্লেয়ারকে খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতাটা বজায় রাখা উচিত।” সেরেনার অবশ্য বক্তব্য, ক্লান্তির কারণেই ম্যাচে তিনি ঠিকমতো দৌড়তে পারছিলেন না। “প্রচুর মাচ খেলেছি এ মরসুমে। খুব ক্লান্ত লাগছিল। দাঁড়াতেই পারব না মনে হচ্ছিল। ফাইনালে উঠে তাই স্বস্তি।”
সেরেনা-ইয়াঙ্কোভিচ ঝামেলা অবশ্য নতুন নয়। চলতি বছরে এপ্রিলে চার্লসটন ওপেনে ইয়াঙ্কোভিচের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন বিশ্বের এক নম্বর মার্কিন তারকা। |