মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ফের চালু বাস
৩ নম্বর রুটে মিটল শ্রমিক-মালিক দ্বন্দ্ব
পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পরে অবশেষে রবিবার বিকেল থেকে চালু হল ৩ নম্বর রুটের বাস। পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের আর্জি মেনে কালীপুজোর আগেই শ্রমিকদের দাবিমতো বোনাস মিটিয়ে দিতে সম্মত হয়েছে বাস মালিকদের সংগঠন।
বোনাসের টাকা নিয়ে সম্প্রতি মালিক সংগঠনের সঙ্গে বিরোধ বাধে শ্রমিকদের। তার জেরেই গত ২২ তারিখ বিকেল থেকে শ্রীরামপুর-বাগবাজার এবং শ্রীরামপুর-সল্টলেক ৩ নম্বর রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকেরা।
মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের তরফে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে চিঠি দেওয়া হয় বিষয়টি সমাধানের জন্য। পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের কানেও খবর পৌঁছয়। শনিবার তিনি বিবদমান দু’পক্ষ এবং হুগলি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন।
রবিবার সকালে দক্ষিণেশ্বরে বাসমালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মদনবাবু। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের হুগলি জেলা কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদবও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতেই মন্ত্রী জানিয়ে দেন, আগে বাস চালু করার ব্যবস্থা হোক। তার পরে যাবতীয় আলোচনা। মন্ত্রীর নির্দেশেই রফাসূত্র বেরোয়। ধর্মঘট তুলে নেন শ্রমিকেরা।
মদনবাবু বলেন, “ওই রুটে একটা সমস্যা হয়েছিল। তা মিটে গিয়েছে। পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের আর সমস্যা হবে না।”
গতবারের হারেই বোনাস। মিলবে কালীপুজোর আগে।
কর্মদিবসের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্ক মিলিয়ে এই রুটে শ্রমিকদের বোনাস দেওয়া হয়। গত বছর বাস চালকদের ক্ষেত্রে কর্মদিবসের সঙ্গে ৬ টাকা ৫০ পয়সা এবং কন্ডাক্টরদের ক্ষেত্রে ৫ টাকা ৫০ পয়সা গুণিতক হারে বোনাস দেওয়া হয়েছিল। এ বার অবশ্য কর্মদিবসের সঙ্গে চালকদের ক্ষেত্রে ৬ টাকা এবং কন্ডাক্টরদের ক্ষেত্রে ৫ টাকা হিসেবে বোনাস দেওয়া হবে বলে বাসমালিক সংগঠনের তরফে ঘোষণা করা হয়। গত বছরের তুলনায় বোনাস কম দেওয়ার বিষয়টি শ্রমিকেরা মানতে পারেননি। মালিকপক্ষের বক্তব্য ছিল, রাস্তায় বাসের সংখ্যা কমে যাওয়াতেই তাঁরা ওই ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন। এ নিয়েই চাপানউতোর শুরু হয়। গত বছরের হারেই বোনাস দিতে হবে বলে দাবি করেন শ্রমিকেরা।
বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক সুদীপ দে বলেন, “অসুবিধা সত্ত্বেও আমরা ওই দাবি মেনে নিয়েছিলাম। শুধু বলেছিলাম আগামী ২২ নভেম্বর তা দেওয়া হবে। তা সত্ত্বেও বাস বন্ধ করেছিলেন শ্রমিকেরা। তবে মন্ত্রীর কথা মেনে পয়লা নভেম্বরেই ওই হারে বোনাস মিটিয়ে দেওয়া হবে।” ওই রুটের তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির সভাপতি অন্বয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শ্রমিকেরা যে ন্যায্য পাওনা বুঝে পেলেন, এতেই আমরা খুশি। আশা করি শ্রমিকদের পরিস্থিতি নিত্যযাত্রীরাও বুঝবেন।”

পুরনো খবর:

পুরসভার উদ্যোগে গঙ্গার ঘাট সংস্কার
আসন্ন কালীপুজো, কার্তিক পূজো এবং ছট পুজো উপলক্ষে এলাকার তিনটি ঘাট সংস্কারের কাজে হাত দিল বাঁশবেড়িয়া পুরসভা। গত বুধবার থেকে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের আওতায় পঞ্চাননতলা ঘাট, শিবপুর রাজা ঘাট এবং ডানলপ ঘাট সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে বলে পুরসভা জানিয়েছে। শহরের মূলত এই তিনটি ঘাটেই কালীপুজো এবং কার্তিক পুজোর বিসর্জন হয়। ছটপুজোরও মূল ভিড়টা জমে এই তিন ঘাটেই। উৎসবের আনন্দে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য ঘাটগুলির ভাঙাচোরা অংশ মেরামতির জন্য ২০৫ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে বলে পুরসভা জানিয়েছে। পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান অমিত ঘোষ বলেন, “পুরসভা চার লক্ষ টাকা খরচ করে তিনটি ঘাট সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। উৎসব শুরুর আগেই সংস্কারের কাজ শেষ করা হবে।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.