শ্রমিক-মালিক বিবাদে বাস বন্ধ শ্রীরামপুরে
পুজোর বোনাস দেওয়া নিয়ে শ্রমিক-মালিক মতানৈক্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুরের ৩ নম্বর রুটের বাস। এই রুটের বাস সল্টলেক এবং বাগবাজার পর্যন্ত চলাচল করে। চালক-খালাসি মিলিয়ে ২৫০ জনেরও বেশি কর্মী রয়েছেন। আছে ৪০টিরও বেশি বাস।
বাসকর্মীদের দাবি, গত বছর পর্যন্ত চালকদের কর্মদিবসের সঙ্গে ৬ টাকা ৫০ পয়সা গুণিতক হারে এবং খালাসিদের কর্মদিবসের সঙ্গে ৫ টাকা ৫০ পয়সা হারে বোনাস দেওয়া হত। এ বছর বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নেয়, চালকদের ৬ টাকা এবং খালাসিদের ৫ টাকা গুণিতক হারে বোনাস দেওয়া হবে। তখনই আপত্তি জানান বাসকর্মীরা।
প্রথমে গত বছরের তূলনায় বোনাস বাড়ানোর দাবি তুললেও পরে কর্মীরা গত বছরের বারই বজায় রাখার দাবি জানান। কিন্তু তাতেও রাজি হয়নি বাস সিন্ডিকেট। এ নিয়ে বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশন বৈঠকে বসলেও কোনও রফাসূত্র না মেলায় মঙ্গলবার দুপুর থেকেই বাসকর্মীরা ধর্মঘট শুরু করেন। বুধবারও বাস চলেনি। বাসকর্মী সঞ্জয় ঠাকুর, কৃষ্ণ সিংহদের কথায়, “একে মূল্যবৃদ্ধি, দিনের পর দিন সব কিছুর দাম বাড়ছে। সেখানে আমরা যা বোনাস পাই তার থেকে আরও কম দেওয়ার কথা হচ্ছে।”
৩ নম্বর বাস শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সভাপতি অন্বয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাসমালিক সিন্ডিকেট অরাজকতা করছে। শ্রমিকদের নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে। আমরা বিষয়টি মেটানোর জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।” ৩ নম্বর বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক সুদীপ দে বলেন, “প্রত্যেকটি বাস মালিকদের কাছ থেকে বছরে বাস-পিছু নির্দিষ্ট টাকা নেওয়া হয়। তা থেকে বোনাস দেওয়া হয়। গত বছর বাস ছিল ৪৮টি। এখন তুলনায় বাসের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পাওনা টাকার অঙ্ক কমেছে। তাই আমরা অনন্যোপায় হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

দুই পরিবারের মারপিটে জখম ১০ পোলবায়
দুই পরিবারের মধ্যে মারপিটে জখম হলেন অন্তত ১০ জন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবা থানার আকনা গ্রামে। পুরনো বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা শেখ আবদুল্লার সঙ্গে তার প্রতিবেশী শেখ ফরাদের পারিবারিক বিবাদ ছিল দীর্ঘদিনের। শেখ আবদুল্লার বাড়ির সামনে একটি ধানের গোলা রয়েছে। সেই ধানের গোলাটি শেখ ফরাদেরও বাড়ির সামনাসামনি হওয়ায় সেটি নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেখ আবদুল্লা বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ, সে সময় ধানের গোলাটি সরানোর দাবিতে আচমকাই শেখ আবদুল্লার বাড়িতে চড়াও হয় শেখ ফরাদের দুই ছেলে আবদুল মান্নান এবং শেখ সাবির আলি। বাধা দিতে গিয়ে আহত হন আবদুল্লার স্ত্রী ও মেয়ে। আবদুল্লার ছেলে শেখ মান্নান বাধা দিতে গেলে আহত হন তিনিও। তাঁর মাথায় রড দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। জখম হন আবদুল্লার মা মালেকা বিবি এবং বোন ফরিদাও। পালিয়ে যায় শেখ ফরাদের ছেলেরা। গোলমালে জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁরা রাস্তায় বেরিয়ে একে অন্যের দিকে ইট ছুড়তে থাকেন। তাতেও আহত হন কয়েক জন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুই পরিবারের তরফেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.