বেহালার জ্যোতিষ রায় রোড থেকে পূর্ণ গতিতে রায়বাহাদুর রোডের দিকে ঘুরছিল মারুতি সুইফ্ট গাড়িটি। টাল সামলাতে না পেরে রাস্তার ধারের এক সব্জি বিক্রেতা ও চার জন ক্রেতাকে ধাক্কা মারল গাড়িটি। এলাকার মানুষই জখম পাঁচ জনকে নিয়ে যান হাসপাতালে। পুলিশ জানায়, সেখানেই মারা যান সব্জি বিক্রেতা শীলা নাড়ু (৩৫)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন দু’জন। |
ঘটনাটি রবিবার সকাল ৮টার। গাড়ির চালক সৌম্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, তিনি গাড়ি চালানো শিখছেন। সম্প্রতি তিনি পরিবহণ দফতর থেকে শিক্ষানবিশ (লার্নার) লাইসেন্স পেয়েছেন। ওই লাইসেন্স নিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালানো যায় না বলে ট্রাফিক কর্তারা জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী, লার্নার লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালাতে হলে পাশে এক জন পাকা চালককে রাখতে হয়। সৌম্যজিৎবাবু তা না করে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। চলতি মাসের ৭ তারিখে এক তরুণীর গাড়ির ধাক্কায় লেকটাউনে প্রাণ হারিয়েছিল একটি বাচ্চা। অভিযোগ ছিল, পাকা লাইসেন্স থাকলেও গাড়ি চালানোতে সড়গড় ছিলেন না ওই তরুণী। কাঁচা হাতে গ্যারাজ থেকে গাড়ি বার করতে গিয়ে ওই শিশুকে পিষে দেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, পর্ণশ্রী পল্লির বাসিন্দা বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী সৌম্যজিৎবাবুকে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সৌম্যজিৎবাবু গাড়ি নিয়ে জ্যোতিষ রায় রোড থেকে রায় বাহাদুর রোডে ঢোকার মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। গাড়িটি সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে সব্জি বিক্রেতা শীলা নাড়ু ও তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক জন ক্রেতাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়িটি এত গতিতে ছিল যে গাড়িটি শীলাদেবীকে পিছনের দেওয়ালের সঙ্গে পিষে দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, চোখের সামনে ওই ঘটনা ঘটতে দেখে এলাকার বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে সৌম্যজিৎবাবুকে মারধর করেন এবং গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে বেহালা থানার পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। |