যুবভারতীর পর পুণে। সালগাওকরের পর মুম্বই এফসি—আই লিগে জোড়া জয়ে মোহনবাগানের গ্রাফ হঠাৎই উর্দ্ধমুখী হতে শুরু করল। বাগানে ফের ফুটতে শুরু করছে ফুল।
ওকোলি ওডাফা, এরিক মুরান্ডাহীন দলও ঘরে এবং বাইরে যে জয় আনতে পারে, সেই কথা এতদিন অতি বড় সবুজ-মেরুন সমর্থকও বিশ্বাস করতেন না। এ বার সে ভুল ভাঙল। শুধু দুই বিদেশিই নন-- ওয়াহিদ সালি, ডেনসন দেবদাসদের মতো নিয়মিত প্রথম একাদশে খেলা ফুটবলারও এ দিন চোট বা কার্ড সমস্যায় মাঠে নামতে পারেননি। সম্ভবত সে জন্যই কোনওক্রমে মুম্বই এফসি-কে ১-০-এ হারানোর পর স্বস্তির হাওয়া বাগানে। ম্যাচের পর ফোনে করিম বেঞ্চারিফাও বলে দিলেন, “পুণে থেকে পাওয়া তিন পয়েন্ট আমাদের কাছে খুবই মূল্যবান। কারণ অনূর্ধ্ব ২৩ চার জন খেলেছে টিমে।” এরই সঙ্গে যোগ করলেন, “মুম্বই বেশ ভাল দল। তার ওপর ওরা মূলত ফিজিক্যাল গেম খেলে। সে জন্যই চিন্তা ছিল।” ঘরের মাঠে পুরনো ক্লাব সালগাওকরকে হারানোর পরও চাপমুক্ত হতে পারেননি মরক্কান কোচ। এ দিন করিমের সঙ্গে কথা বলে মনে হল, টিমের মতো নিজেও হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন।
খালিদ জামিলের টিমের বিরুদ্ধে অবশ্য শুরুটা ভাল করেনি মোহনবাগান। বরং আনোয়ার, ক্লাইম্যাক্সরাই চাপে রেখেছিলেন ইচে, কিংশুকদের। করিমও মানছেন সে কথা। “প্রথমার্ধ ফিফটি ফিফটি ছিল। বিরতির পর মণীশের গোলটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়।” আসলে, নিকোলাওয়ের জায়াগায় মণীশ ভার্গবকে নামানোর সিদ্ধান্তটাই এ দিন করিমের মাস্টার স্ট্রোক ছিল। ভার্গব নামতেই ম্যাচের রং বদলাতে শুরু করে। বিরতির পরই প্রীতম কোটালের ক্রস থেকে ভার্গবের নিখুঁত হেডে এগিয়ে যায় বাগান। আই লিগে প্রথম গোল পেয়ে উচ্ছ্বসিত পঞ্জাবি মিডিও। বলছিলেন, “এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট খুব দরকার ছিল। আমার গোলে দল জিতেছে এটাই বড় প্রাপ্তি। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।”
ইনজুরি টাইমে বাগান অবশ্য খেলল দশ জনে। দু’টি হলুদ কার্ড দেখে বাইরে যেতে হল শঙ্করকে। পরের ম্যাচে ডেম্পোর বিরুদ্ধে শঙ্করকে পাবেন না করিম। মুরান্ডা সুস্থ না হয়ে উঠলে তাই সমস্যায় পড়বে বাগান। আজ রবিবারই গোয়া যাচ্ছেন কাতসুমিরা।
মোহনবাগান: শিল্টন, ইচে, আদিল, প্রীতম, শৌভিক, কিংশুক, কাতসুমি (রাম), জাকির, নিকোলাও (ভার্গব), সাবিথ, শঙ্কর। |