রাহুল গাঁধীকে ব্যঙ্গের সুরে ‘শাহজাদা’ বলায় বিজেপিকে কড়া জবাব দিল কংগ্রেস। কিন্তু, সেই জবাবকে পাত্তা না দিয়ে উদয়পুরের জনসভায় ফের রাহুলকে ‘শাহজাদা’ বললেন নরেন্দ্র মোদী। সব মিলিয়ে পুরো মাত্রায় আজও চলল বিজেপি-কংগ্রেস কাজিয়া।
উত্তরপ্রদেশে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কার্যকলাপ নিয়ে রাহুলের মন্তব্যের সমালোচনা করার সময়ে ব্যঙ্গের সুরে তাঁকে ‘শাহজাদা’ বলেছিলেন মোদী। তাতে বেজায় চটেছে কংগ্রেস। আজ কংগ্রেস মুখপাত্র জনার্দন দ্বিবেদী বলেছেন, “রাহুলকে অভব্য ভাষায় সম্বোধন করা হচ্ছে। ব্যবহার হচ্ছে শাহজাদার মতো শব্দ। কংগ্রেসকর্মীরা এই ধরনের বক্তৃতা বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। আচরণ বিধি আর আইনের জন্য তাঁরা চুপ করে আছেন।”
দ্বিবেদীর দাবি, রাহুল ও কংগ্রেস নেতারা অন্য দলের নেতাদের সম্পর্কে সম্ভ্রম বজায় রেখে কথা বলেন। অন্যদেরও তা মেনে চলা উচিত। তবে কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া যা-ই হোক, তাতে মোদীর রাহুল তথা কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে ব্যঙ্গ করা থামেনি। আজ উদয়পুরের সভায় ফের মোদী বলেন, “পরিবার নিয়ে সিরিয়াল ভারতে ভালই চলে। তাই ‘শাহজাদা’ ভাবছেন তাঁর সিরিয়ালও ভালই চলবে।”
মুজফ্ফরনগরের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিম যুবকদের সঙ্গে আইএসআই যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে বলে ইনদওরের সভায় দাবি করেছিলেন রাহুল। ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির’ বিরুদ্ধে ঘৃণার আগুন জ্বালানোর অভিযোগও তোলেন তিনি। গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন রাহুল। কিন্তু, কেন্দ্র তাদের এই খবর জানায়নি বলে আজ জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির সরকার।
আজ উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব কমল সাক্সেনা জানিয়েছেন, মুজফ্ফরনগরে ক্ষতিগ্রস্ত যুবকদের সঙ্গে আইএসআইয়ের যোগাযোগের চেষ্টার খবর তাঁরা পাননি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তাঁদের এই ধরনের কোনও খবর দেননি। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস-দমন শাখার প্রধান মুকুল গয়ালও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কোনও গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকেই এমন খবর মেলেনি।
রাহুলের ‘উস্কানিমূলক’ বক্তৃতায় দেশে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে বলে আজ দাবি করেছে বিজেপি। দলীয় মুখপাত্র মুক্তার আব্বাস নকভি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে সোমবার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। রাহুলের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে কমিশনকে চিঠি লিখেছেন সমাজকর্মী নূতন ঠাকুরও। নূতনের দাবি, বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কমিশন।
|