|
|
|
|
পরিষেবা ঠিক করার আশায় রেল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে বন্যার জেরে রেলের পরিষেবা এখনও বিপর্যস্ত। বিশেষ করে, হাওড়া-চেন্নাই রুটে ট্রেন চলাচল সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার রাতের হাওড়া-চেন্নাই মেল বাতিল করা হয়েছে। রেল বাতিল করে দিয়েছে আজ, রবিবার সকালের সাঁতরাগাছি-তিরুপতি এক্সপ্রেসও।
শুক্রবারই রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, শনিবারের ট্রেনগুলির মধ্যে হাওড়া থেকে যশোবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-সেকেন্দরাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-চেন্নাই এক্সপ্রেস ও সাঁতরাগাছি-কচুভেলি এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, করমন্ডল এক্সপ্রেস, ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেসের মতো হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতগামী বাকি সমস্ত ট্রেন ঘুরপথে যাচ্ছে। ফলে, কোনও ট্রেন ২৪ ঘণ্টা, কোনও ট্রেন ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে চলছে। |
|
রেল সূত্রের খবর, হাওড়া থেকে চেন্নাই পর্যন্ত যে সব ট্রেন যায়, সেগুলি মূলত হাওড়া-ভুবনেশ্বর-খুরদা রোড-বিশাখপত্তনম-চেন্নাইএই রুট ধরে। কিন্তু গত ২৪ অক্টোবর রাতে খুরদা রোড থেকে বিশাখপত্তনম পর্যন্ত ৪০০ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ রেলপথের পাঁচটি জায়গায় লাইনের উপর দিয়ে জল যাওয়া শুরু হয়েছিল। এই অবস্থায় রেল ঘুরপথে কয়েকটি ট্রেন চালাচ্ছিল।
ঘুরপথে যাওয়া ট্রেনগুলির কয়েকটি খুরদা রোড থেকে ঝাড়সুগদা-সম্বলপুর-তিতলাগড় হয়ে বিশাখপত্তনম এবং অন্যগুলি ঝাড়সুগদা থেকে নাগপুর হয়ে সেখান থেকে বিশাখপত্তনমে ঢুকছে। ঘুরপথে যাওয়ার ফলে গন্তব্যে পৌঁছাতে এমনিতেই ট্রেনগুলির ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় বেশি লাগছিল। ফেরার সময়েও দেরি হচ্ছিল একই রকম। ফলে, ২৪-৩০ ঘণ্টা দেরির জন্য গোটা ব্যবস্থাটাই জট পাকিয়ে গিয়েছে। ট্রেন চালাতে গিয়ে রেকের অভাবে সব চেয়ে সমস্যায় পড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। এক ট্রেনের রেক অন্য ট্রেনকে দিয়ে কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
তবে রেল জানিয়েছে, দু’সপ্তাহ আগে ঘূর্নিঝড় পিলিনের হানার সময়কার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে পূর্ব উপকূলীয় রেল ও দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেল জরুরি ভিত্তিতে কাজ করে খুরদা রোড থেকে বিশাখপত্তনম পর্যন্ত রেলপথ শনিবার সন্ধ্যায় পুরোপুরি ঠিক করতে পেরেছে। ফলে, রেল আশা করছে, নতুন করে বৃষ্টি না হলে আজ, রবিবার সন্ধ্যা থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা এবং শুধু তা-ই নয়, কয়েকটি ট্রেন নির্দিষ্ট পথেই আজ থেকে ফের চলতে পারে। |
|
|
|
|
|