|
|
|
|
টানা বৃষ্টিতে জেরবার ঝাড়খণ্ড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
পিলিনের প্রভাব কাটতে না কাটতে ফের নিম্নচাপ। তার জেরেই টানা বৃষ্টি চলছে ঝাড়খণ্ডে। আজ বেলা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে রাঁচিতে। দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি পড়া বন্ধ হলেও পূর্ব সিংভূম, ধানবাদ, হাজারিবাগ-সহ ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। আর তার জেরেই ধানবাদের কাছে বরাকর ও দামোদর নদীতে জল বেড়েছে। নদীর জল বিপদ সীমার কাছে পৌঁছতেই জল ছাড়তে শুরু করেছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন।
পটনা আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা আশিস সেন জানান, অন্ধ্রপ্রদেশের সমুদ্রে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের অক্ষরেখাটি সেখান থেকে ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ছুঁয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। যার জেরে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডেও ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। আজ দুপুরের পরে নিম্নচাপটি সমুদ্রপৃষ্ঠ ছেড়ে অন্ধ্রের ভূপৃষ্ঠ ছুঁয়েছে। সেটির শক্তিও ধীরে ধীরে কমছে। আশিসবাবু জানান, আজ দুপুরে তেলঙ্গানায় থাকা নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে রাতের মধ্যে দুর্বল হয়ে পড়বে। রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস।
চাণ্ডিল আর গালুডিহি জলাধার থেকে এখনও জল ছাড়া হয়নি। জল সম্পদ দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, এখনও জল ছাড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে দু’টি নদীতেই জল বেড়েছে। জামশেদপুরে, দলমা পাহাড় থেকে জল নামায় শুক্রবার ডিমনা লেকের চারটি গেট খুলে দেওয়া হয়।
ডিভিসির ধানবাদ জনসংযোগ বিভাগ জানাচ্ছে, বরাকরের উপরে মাইথন জলাধারের বিপদ সীমা ৪৯৪.৫ ফুট। বর্তমানে জল উঠে এসেছে ৪৯১.৪ ফুটে। ফলে সেখান থেকে এখন ১৮ হাজার একর ফুটের হিসেবে জল ছাড়ছে ডিভিসি। আবার দামোদরের উপরে অবস্থিত পাঞ্চেতের বিপদ সীমা ৪২৪ ফুট। এই মুহূর্তে জল রয়েছে ৪২২.৪ ফুটে। সেই কারণে সেখান থেকে ৩৭ হাজার একর ফুটের হিসেব জল ছাড়া হচ্ছে। |
|
|
|
|
|