পুরসভার চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের চয়নিকা লাহা। বৃহস্পতিবার পুরভবনে কৃষিমন্ত্রী দলের পর্যবেক্ষক মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে চয়নিকার নাম চেয়ারপার্সন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এর আগে পুরসভার ২৫ জন ডান-বাম কাউন্সিলরকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণার আগে বাম কাউন্সিলরেরা সভা কক্ষ ছেড়ে চলে যান। নব নির্বাচিত চেয়ারপার্সনকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন প্রশাসক মহকুমাশাসক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। চয়নিকা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে বালুরঘাটে উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, দীর্ঘ ৪৪ বছর বালুরঘাট পুরসভার ক্ষমতা বামেদের হাত থেকে তৃণমূল ছিনিয়ে নেওয়ার পর চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান ঠিক করা নিয়ে একমাস ধরে দলে টানাপোড়েন অব্যাহত ছিল। তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠী রাজনীতি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। বোর্ড গঠনের পর দুপক্ষই সচেতন ভাবে বিরোধ এড়িয়ে ঐক্যের বার্তা তুলে ধরেন। এ দিন প্রথম থেকে জেলার সবস্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী কাউন্সিলর চয়নিকাদেবীকে চেয়ারপার্সন করতে বালুরঘাটের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী আগেই তৃণমূল ভবনে প্রস্তাব দিয়েছেন। দলীয় নেতৃত্ব তাই মেনে নেন। |
তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে এদিন কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। একাধিক প্রার্থীর নাম উঠে আসায় বিতর্ক ঠেকাতে আপাতত পরে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করা হবে বলে দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে খবর অভিযোগ, জেলা নেতৃত্বকে এড়িয়ে গিয়ে মন্ত্রী শঙ্করবাবু কলকাতায় চেয়ারপার্সন হিসাবে চয়নিকা লাহার নাম প্রস্তাব করার বিষয়টি নিয়ে জেলাস্তরে দলের ভিতরে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ। দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “আলোচনা করেই চেয়ারপার্সন ঠিক হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে ৩-৪ জনের নাম এসেছে। আলোচনা করেই ওই পদে প্রার্থী মনোনীত করা হবে।” এই প্রসঙ্গ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী শঙ্করবাবু বলেন, “আপনারা দলে বিভাজনের চেষ্টা করছেন। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি।” তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, পুরসভায় দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ্ব প্রশাসনের মাধ্যমে নাগরিক পরিষেবা ও উন্নয়নের কাজে গুরুত্ব দেওয়া হবে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মত শহরে নিকাশি ও জল সরবরাহ প্রকল্প রূপায়ণে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু হবে। এ দিন পুরসভার দলনেতা হিসাবে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রাজেন শীলের নাম ঘোষণা করা হয়। পুরসভার ১১ বাম কাউন্সিলরের মধ্যে বিরোধী দলনেতা কে হবে তা এখনও ঠিক হয়নি বলে জানান আরএসপির কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাস। |