টুকরো খবর
সিপিএমের স্বাস্থ্য শিবির
ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিত্‌সার সুবিধার জন্য স্বাস্থ্য শিবির হল সিপিএমের উদ্যোগে। বৃহস্পতিবার মাটিগাড়ার পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচকেলগুড়ি এলাকায় ওই শিবির হয়। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য জানান, দিন তিনেক আগে তিনি ওই এলাকায় যান। বাসিন্দাদের একাংশ তাঁকে এলাকার ডেঙ্গির প্রকোপের কথা জানালে তিনি ২০ টি বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর করেন। তার মধ্যে ১৮টি বাড়িতেই জ্বরে আক্রান্ত রোগী রয়েছে বলে জানতে পারেন। যাঁরা ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে তিনি দাবি করেছেন। অশোকবাবু বলেন, “এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত অনেক রোগী রয়েছেন। সে কারণে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিলাম। তবে তাদের পক্ষে সমস্যা রয়েছে জানালে পার্টির তরফে এ দিন ওই চিকিত্‌সা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল।” অন্তত ১০০ জন জ্বরে আক্রান্ত রোগী এ দিন তাঁদের শিবিরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন বলে জানানো হয়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভদের সহায়তায় রোগীদের ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।

অবশেষে খুলল অন্তর্বিভাগ
ছুটিতে থাকা চিকিৎসক তুষারকান্তি লায়া অসুস্থতা সত্ত্বেও কাজে যোগ দেওয়ায় অবশেষে চালু হল পটাশপুর ২ ব্লকের প্রতাপদিঘি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ। প্রসঙ্গত, কোনও চিকিৎসক না থাকায় গত দশ দিন ধরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ বন্ধ ছিল। রোগী দেখছিলেন ফার্মাসিস্ট ও নার্সরা। এ দিকে বুধবার সন্ধ্যায় জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক অনুজিৎ দাস। তিনি স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রতাপদিঘিতে কাজে যোগ দেননি। সিএমওএইচ স্বপনকুমার ঝরিয়াৎ বলেন, “ওই চিকিৎসকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। প্রতাপদিঘিতে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর বাড়ির ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি যোগ না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তুষারকান্তিবাবু বলেন, “গত এপ্রিল থেকে একটানা কাজ করছিলাম। একাই অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগ সামলেছি। আর একজন চিকিৎসক না থাকলে কাজ করা অসম্ভব। শুধুমাত্র রোগীর স্বার্থে অসুস্থতা সত্ত্বেও কাজে যোগ দিলাম।”

আক্রান্ত আরও পাঁচ
খয়রাশোলের ভবানীগঞ্জ গ্রামে ছড়িয়ে পড়া পেটের রোগ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বৃহস্পতিবারও। খয়রাশোলের নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এ দিনও ৫ জনকে ভর্তি করানো হয়েছে। বিএমওএইচ স্বরূপ মাড্ডির দাবি, “পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ভর্তি হওয়া ১৪ জনের মধ্যে অধিকাংশকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। গ্রামেও স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন। রোগের প্রকোপ পুরোপুরি কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার থেকে ওই গ্রামে পেটের রোগ ছড়ায়। বুধবার সকালে তা প্রকট আকার নেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পানীয় জল গভীর নলকূপ থেকে সংগ্রহ করলেও বাসনপত্র ধোয়ার কাজটা মূলত গ্রামের দু’টি পুকুরে করে থাকেন লোকজন। পুকুরের জল দূষিত হওয়ার কারণে পেটের রোগ ছড়িয়েছে, অনুমান করে জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। খয়রাশোলের বিডিও মহম্মদ ইসরার বলেন, “পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।”

পুরনো খবর:

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উন্নীত গ্রামীণ হাসপাতাল
দাঁতন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র উন্নীত হল গ্রামীণ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার ওই গ্রামীণ হাসপাতালের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মৃগেন মাইতি, স্বাস্থ্য পরিষেবার উপ-অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক গৌতম সিংহ, ব্লক সভাপতি বিক্রম প্রধান প্রমুখ। পনেরো শয্যাবিশিষ্ট দাঁতন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আরও ১৫টি শয্যা বাড়িয়ে ত্রিশ শয্যার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গত দেড় বছর ধরে ওই নতুন দোতলা ভবনটি গড়ে উঠেছে। জাতীয় গ্রামীন স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্প ও রাজ্য সরকারের অর্থে হাসপাতালের নতুন ভবনটি তৈরি হয়েছে। হাসপাতালে নার্সের সংখ্যাও ৬জন থেকে বাড়িয়ে ৯জন করা হয়েছে। তবে আগেকার মতো চার জন চিকিৎসকই গ্রামীণ হাসাপাতালের দায়িত্ব সামলাবেন। পরে আরও একজন চিকিৎসক বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

স্বাস্থ্য শিবির
জল নামতেই বৃহস্পতিবার ঘাটালের বন্যা কবলিত মনসুকায় স্বাস্থ্য শিবির করল স্থানীয় একটি সংস্থা। সংস্থাটি মনসুকার একাধিক গ্রামে ঘুরে প্রায় শতাধিক মানুষের নিখরচায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ওষুধ বিলি করে। এ ছাড়াও গ্রামের পুকুরে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দূষণমুক্ত পানীয় জলের প্যাকেট বিলি করা হয়। সংস্থার পক্ষে সুদীপ মণ্ডল বলেন, “আমরা ঘাটাল-ব্লক সহ মহকুমার বন্যা কবলিত এলাকায় ঘুরে ঘুরে স্বাস্থ্য শিবির করব।” উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবদুলাল মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসক মধুসূধন ভৌমিক-সহ অন্যরা।

তমলুকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র।
ব্লাড ব্যাঙ্কে দালাল চক্র রুখতে কড়া পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার তমলুক শহরের রাজকুমারী সান্ত্বনাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের সভাঘরে রক্তদান আন্দোলনে যুক্ত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সম্মেলন এসে চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “সরকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সাহায্যে রাজ্যে বর্তমানে রক্তের চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ পূরণ করা যাচ্ছে। এখনও ১০ শতাংশ রক্তের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। এই চাহিদা মেটাতে সরকারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সহযোগিতা প্রয়োজন।” তমলুক ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোশিয়েসনের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিন ব্যাপী এই সম্মেলেনের উদ্বোধন করেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাইছি স্বেচ্ছা রক্তদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবার অন্যান্য কাজেও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে যুক্ত করতে। সরকারি ভাবে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে নিয়ে আরও বিভিন্ন কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।” এদিন সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন প্রমুখ। উদ্যোক্তারা জানান, রাজ্যের ১৮টি জেলা থেকে ১৭৫ জন প্রতিনিধির পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড থেকেও লোকজন এসেছিলেন সম্মেলনে।

রোগীর মৃত্যুতে ভাঙচুর
রোগীমৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নগাঁও জেলার হোজাই হাসপাতাল। সঞ্জিৎ দেব নামে এক যুবক অস্ত্রোপচারের জন্য বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সঞ্জীব বরুয়া নামে এক চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেন। কিন্তু, রাত পর্যন্ত তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতের পরিবার, স্থানীয় জনতা ও ছাত্র সংগঠন চিকিৎসক, নার্সদের উপরে চড়াও হয়। ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ লাঠি চালায়। ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মী ও দুই বিক্ষোভকারী জখম হয়েছেন।

বিপাকে রোগী
আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে শল্য চিকিৎসক না থাকায় বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। স্বাস্থ্য কর্তারা দ্রুত সমস্যার সমাধান না করলে অনশনে বসার হুমকি দিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সদস্যরা। তাঁরা জানান, প্রায় তিন মাস ধরে মহকুমা হাসপাতালে স্থায়ী শল্য চিকিসক নেই। দুইজন শল্য চিকিসকের এক জন বদলি হয়ে গিয়েছেন। অপরজন অসুস্থ।

আর্জি গ্রহণ
মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সর্বভারতীয় পরীক্ষা ‘এনইইটি’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। ১৮ জুলাই একটি রায়ে এনইইটি বাতিল করেছিল কোর্ট। সেই রায় বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

দই খেয়ে অসুস্থ
খাদ্যের বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হল ছ’জন পড়ুয়া-সহ আটজন। ঘটনাটি শিবসাগরের ডিমৌমুখ এলাকার। বাঁশের চোঙায় দুধ ঢেলে দই করা হয়। একই পরিবারের সদস্যরা তা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাঁচ পড়ুয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.