|
|
|
বিতর্কের তিন মুখ: দীপঙ্কর, রবার্ট ও মোগা। |
|
ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে এরকম ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। ট্রেভর মর্গ্যান জমানাতেই এ রকম ঘটনা দু’বার ঘটেছিল। এক বার টোলগে ওজবের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছিল গুরবিন্দর সিংহের। আর একবার মেহতাব হোসেন আর হরমনজিৎ খাবড়া নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলে জড়িয়েছিলেন। ফালোপা ইস্টবেঙ্গলে কোচ হয়ে আসার পর অবশ্য এই প্রথম ফুটবলারদের মধ্যে মারামারি হল।
এ দিনের অনভিপ্রেত ঝামেলার থেকেও ফালোপা বেশি চিন্তিত বেঙ্গালুরু এফসি-কে নিয়ে। আই লিগে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছে ফ্রাঞ্চাইজি হিসাবে আই লিগে খেলতে আসা নতুন এই দল। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই জিতেছেন সুনীল ছেত্রীরা। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল আই লিগের দ্বিতীয় ম্যাচেই ডেম্পোর কাছে জঘন্য ভাবে হেরেছে। সেই হারের ধারা অব্যহত ছিল এএফসি ম্যাচে কুয়েত এসি-র সঙ্গেও। সে জন্য বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে নামার আগে বেশ সাবধানী ব্রাজিলীয় কোচ। বললেন, “বেঙ্গালুরু ভাল দল। ওদের দলে শন রুনি, সুনীল ছেত্রীর মতো প্লেয়ার আছে। আমাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আই লিগ পেতে হলে আর পয়েন্ট নষ্ট করলে চলবে না।” পাশাপাশি অবশ্য যোগ করলেন, “ওরা এখনও পর্যন্ত কোনও বাইরের ম্যাচ খেলেনি। এটাই ওদের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ। দেখা যাক কী হয়! আমরা কিন্তু খেলব ঘরের মাঠে।”
বেঙ্গালুরু এফসি-র সঙ্গে কল্যাণী যাওয়ার ধকলও চিন্তায় রাখছে ফালোপাকে। তাঁর দাবি, “কলকাতা থেকে কল্যাণী যাওয়ার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। যেতেও প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এই ধকল নেওয়ার পর ফুটবলাররা আর নিজেদের সেরাটা দিতে পারে না।”
এ দিন আবার নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন জেমস মোগা। এএফসি কাপ সেমিফাইনালের শেষে লাল হলুদ সমর্থকদের সঙ্গে ঝামেলা করেন মোগা। বৃহস্পতিবার অনুশীলনের শেষে তাঁকে ঝামেলার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে মোগা বলেন, “আমার মা-বাবা নিয়ে বাজে কথা বলায় প্রতিবাদ করেছি।” সমর্থকদের সঙ্গে বারবার ঝামেলায় পড়লে কি তিনি দেশ ছাড়বেন, সেই উত্তরে লাল হলুদের বিদেশি স্ট্রাইকার বলেন, “দেশ ছাড়লে ক্লাবেরই ক্ষতি। আমি পেশাদার ফুটবলার। ক্লাব ঠিক পেয়ে যাব।” যদিও ফালোপা প্রসঙ্গে কোনও কথা বলেননি মোগা। |