ইব্রার সেই অবিশ্বাস্য শট। |
দিন কয়েক আগে ফরাসি লিগে বাস্তিয়ার বিরুদ্ধে স্করপিয়ান কিক যদি হয়ে থাকে স্কিল ও অনুমানক্ষমতার মিশেল, তবে আন্ডারলেখটের সঙ্গে গোলটা ছিল গতি ও শক্তির। ম্যাচের শুরুতেই জোড়া গোল করে প্যারিস সাঁ জাঁ-কে ২-০ এগিয়ে দেন ইব্রাহিমোভিচ। হ্যাটট্রিক গোলের সময়েই ফের নিজের অবিশ্বাস্য কেরামতির নজির রাখেন ইব্রা। প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে পায়ের চেটো দিয়ে নেওয়া রকেট শট আন্ডারলেখটের গোলকিপারকে হতভম্ব করে জালের ‘টপ কর্নারে’ গিয়ে জড়ায়। যে শটের গতি ছিল ৯৩ মাইল প্রতি ঘণ্টা। হ্যাটট্রিক করেই থেমে যাননি ইব্রা। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি চতুর্থ গোল করে ৫-০ করেন ইব্রাহিমোভিচ। ম্যাচের পর ফরাসি প্রচারমাধ্যমে শুধুমাত্র একটাই হেডলাইন ঘুরপাক খাচ্ছে, “ইব্রাহিমোভিচ কি তবে সব ধরনের গোল করতে পারে?”। আবার ব্রিটিশ দৈনিকগুলোতে লেখা হয়েছে, “ইব্রাহিমোভিচের স্টানার রবের্তো কার্লোসের ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সেই বিখ্যাত গোলের কথা মনে করিয়ে দিল।” আর ইব্রাহিমোভিচ নিজে কী বলছেন? “হ্যাটট্রিক করতে পেরে আমি গর্বিত। তবে আমার গোলের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল ম্যাচ জেতা,” বলছেন নায়ক। দলের মহাতারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ লঁরা ব্ল বলেন, “জ্লাটান এমন একটা ফুটবলার যে একাই কোনও দলকে জেতাতে পারে। ওর মতো তারকা দলে থাকলে কোনও সমস্যা হয় না জিততে।” |
দূরত্ব ৩৫ গজ, গতি ঘণ্টায় ৯৩ মাইল। গোলকিপারের ব্যর্থ চেষ্টা। |
পাশাপাশি বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয়ের জেতার অভ্যাস ধরে রাখল ইউরোপের ‘হেভিওয়েট’ ক্লাবরা। সের্জিও আগেরোর জোড়া গোলের সাহায্যে সিএসকেএ মস্কোকে ২-১ হারাল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। গত বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ ৫-০ হারাল ভিক্টোরিয়া পিলজেনকে। মারিও গোটজে, বাস্তিয়ান সোয়ানস্টাইগার ও ডেভিড আলাবা ছাড়াও জোড়া গোল করেন ইউরোপসেরা ফুটবলার ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি। |
দুনিয়া কাঁপানো মিসাইল |
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড)
প্রতিপক্ষ: এফসি পোর্তো
গতি: ৬৫ মাইল প্রতি ঘণ্টা
দূরত্ব: ৪০ গজ |
রবের্তো কার্লোস (ব্রাজিল)
প্রতিপক্ষ: ফ্রান্স
গতি:৮৫ মাইল
প্রতি ঘণ্টা
দূরত্ব: ৪০ গজ |
ববি চার্লটন (ইংল্যান্ড)
প্রতিপক্ষ: ইংল্যান্ড
গতি: ৭২ মাইল প্রতি ঘণ্টা
দূরত্ব: ৩০ গজ |
|
|