|
|
|
|
দাবানল নেভাতে গিয়ে মৃত অস্ট্রেলীয় বিমানচালক
সংবাদ সংস্থা • সিডনি |
দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে প্রাণ হারালেন অস্ট্রেলিয়ার ‘রুরাল ফায়ার সার্ভিস’ (আরএফএস)-এর এক বিমানচালক। মৃতের নাম ডেভিড ব্ল্যাক। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে সিডনির দক্ষিণে, উপকূলবর্তী শহর উল্লাদুল্লার বুদাওয়াং ন্যাশনাল পার্কে। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবারই অস্ট্রেলিয়ার সেনা জানিয়েছে, লিথগোর কাছে যে বিধ্বংসী ‘স্টেট মাইন ফায়ার’-এ প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর এলাকা পুড়ে গিয়েছে, সেই আগুনের পিছনে রয়েছে সেনারই অসাবধানতা। ওই এলাকার একটি সেনাকেন্দ্রে বিস্ফোরক-প্রশিক্ষণ চলাকালীন কোনও ভাবে আগুন লেগে যায়। আর তা থেকেই দাবানল ছড়িয়ে পড়ে।
সেনার এই স্বীকারোক্তিতে ইতিমধ্যে জনরোষ তৈরি হয়েছে। প্রশিক্ষণের দরুণ কেন এই অসাবধানতা, সে প্রশ্নও উঠছে।
|
চলছে দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা। সিডনির পশ্চিমে ব্লু মাউন্টেনসে। ছবি: রয়টার্স। |
শুধু স্টেট মাইন এলাকাতেই নয়, গত ক’দিন ধরে আরএফএস সিডনির লাগোয়া একাধিক শহরতলির দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাতে ছবিটা বিশেষ বদলায়নি। আরএফএস সূত্রে দাবি, এখনও অন্তত ৬৩টি শিখা জ্বলছে, তার মধ্যে ২৩টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, ‘ব্লু মাউন্টেনস’ এবং ‘মাউন্ট ভিক্টোরিয়ার’ দু’টি দাবানল নিয়ে বৃহস্পতিবার আপৎকালীন সতর্কতা জারি করেছে অস্ট্রেলীয় প্রশাসন।
তবে আশার কথাএকটাই। বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবারের আবহাওয়া ভাল। এ দিন তাপমাত্রাও নেমে আসে অনেকটাই। হাওয়ার গতিবেগও অনেকটা কমে যায়। আপাতত তাই আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সামান্য কমেছে।
এ দিন উল্লাদুল্লার যে এলাকায় ভেঙে পড়েছিল ডেভিডের বিমান, সেটি ঘন জঙ্গলে ভরা। ক’দিন আগে থেকেই এলাকাটির বড়সড় অংশ আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে। সেই আগুন নেভাতেই বিশেষ বিমান নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে রওনা দিয়েছিলেন ডেভিড। বিমান থেকে ক্রমাগত জলবর্ষণও করছিলেন এলাকায়। কিন্তু আচমকাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভেঙে পড়ে বিমানটি। আরএফএস সূত্রে খবর, বিমান ভেঙে পড়ায় নতুন করে আগুন ধরেছে ওই এলাকায়। তা আয়ত্তে আনতে আরএফএসের বাকি বিমানচালকরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। দেহ উদ্ধারের চেষ্টাও হচ্ছে। |
পুরনো খবর: অস্ট্রেলিয়ায় বিধ্বংসী দাবানল |
|
|
|
|
|