|
|
|
|
বামেদের আঞ্চলিক জোট নিয়ে প্রশ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোট এবং লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য ভিত্তিতে সমাজবাদী পার্টি, জেডিইউয়ের মতো আঞ্চলিক দলের সঙ্গে সমঝোতা হচ্ছে বামেদের। সেই সমঝোতা নিয়েই এ বার বামফ্রন্টের ভিতরে-বাইরে প্রশ্ন উঠল। বেশির ভাগ আঞ্চলিক দলই সুবিধাবাদী বলে সিপিএমকে সতর্ক করল বাম শরিক আরএসপি। আবার সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে কোনও আপস না-করে নির্দিষ্ট কর্মসূচির ভিত্তিতে মঞ্চ গড়ার জন্য প্রগতিশীল ও বাম দলগুলির কাছেই আহ্বান এল বিক্ষুব্ধ বামেদের তরফে।
কংগ্রেস এবং বিজেপি-র থেকে সমদূরত্ব রেখেই ধর্মনিরপেক্ষ কিছু আঞ্চলিক দলের সঙ্গে এখন সমঝোতা করছে সিপিএম, সিপিআই। কিন্তু কলকাতায় কেন্দ্রীয় কমিটির দু’দিনের বৈঠকে কিছুটা ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে আরএসপি। তাদের বক্তব্য, বিজেপি যেমন উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছে, তেমনই কংগ্রেসও সংখ্যালঘু তোষণের পথে হাঁটছে। আবার আঞ্চলিক দলগুলিরও বিশ্বাসযোগ্যতার সমস্যা রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের শেষে আরএসপি-র সাধারণ সম্পাদক টি জে চন্দ্রচূড়ন বৃহস্পতিবার বলেছেন, “সিপিএম, সিপিআইয়ের থেকে আমাদের মত একটু আলাদা। ইতিহাসের শিক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে, আঞ্চলিক দলগুলি মূলত সুবিধাবাদী। নৈতিক কোনও অবস্থান না-থাকায় ইউপিএ, এনডিএ বা যে কোনও জোটের দিকেই তারা যে কোনও সময় ঝুঁকে পড়তে পারে!” সুবিধাবাদী দলের উদাহরণ হিসাবে মুলায়ম সিংহ যাদবের সমাজবাদী পার্টির উদাহরণ দিয়েছেন চন্দ্রচূড়ন। যে মুলায়মকে ৩০ অক্টোবর দিল্লির সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী সম্মেলনে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রকাশ কারাটেরা!
আবার মুজফ্ফর নগরের ঘটনার কথা উল্লেখ করে মুলায়মের দলের সুবিধাবাদী চরিত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন সিপিএম নেতা প্রসেনজিৎ বসুরা। দিল্লি, কেরল, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্রের মূলত সিপিএম ছেড়ে-আসা লোকজনের কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রসেনজিৎদের বক্তব্য, কংগ্রেস এবং বিজেপি-র বাইরে প্রকৃত বিকল্প গড়তে পারে বাম, গণতান্ত্রিক শক্তিই। কিন্তু সেই বিকল্প গড়াতে বামফ্রন্ট যথেষ্ট তৎপরতা দেখাচ্ছে না। ওই বিকল্প গড়ার জন্য বাম, গণতান্ত্রিক দলগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রসেনজিৎরা। পাশাপাশিই চন্দ্রচূড়ন বলেছেন, “আগে জাতীয় স্তরে বামফ্রন্ট হোক। বাকি দলগুলির কথা পরে ভাবা যাবে।”
কিন্তু লোকসভা ভোটের পরে বিজেপি-কে ঠেকাতে কি কংগ্রেসকে সমর্থনের কথাই ভাববে আরএসপি? চন্দ্রচূড়ন, ক্ষিতি গোস্বামীদের দাবি, এমন ত্রিশঙ্কু ফল হবে যে, ওই দু’টি বড় দলের কেউই সরকার গড়ার অবস্থায় থাকবে না। তবে বিজেপি ছাড়া অন্য কাকে সমর্থন করা যাবে, সেই সম্ভাবনার দরজা কৌশলে খোলা রাখার কথাই বলেছেন তাঁরা। |
|
|
 |
|
|