মেট্রোর কাজের জন্য বন্ধ থাকবে শিয়ালদহ সাবওয়ে |
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর স্টেশন তৈরির জন্য শিয়ালদহ সাবওয়েটি কিছু দিনের জন্য বন্ধ রাখতে চায় ইস্ট-ওয়েস্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ওই সাবওয়ে দিয়ে শহরতলি থেকে শিয়ালদহে আসেন বহু যাত্রী। ফলে হঠাৎ সেটা বন্ধ হলে অসুবিধা হবে তাঁদের। আইনশৃঙ্খলারও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পুলিশ ও পূর্ব রেলের কর্তারা।
এ নিয়ে ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ বৈঠক হয়েছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ, কলকাতা মেট্রোরেল নিগম (কেএমআরসি) এবং পুলিশকর্তাদের। সাবওয়ে বন্ধ হলে বিকল্প কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, গত সপ্তাহে ঘটনাস্থলে গিয়ে তা খতিয়ে দেখেন পুলিশের আধিকারিকেরা।
পুলিশকর্তারা শিয়ালদহ স্টেশন এলাকা ঘুরে প্রস্তাব দিয়েছেন, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও এনআরএস হাসপাতালের দিক থেকে যে সব যাত্রী শিয়ালদহ স্টেশনে যাবেন, তাঁদের জন্য শিয়ালদহ উড়ালপুলের নীচে বাঁ দিকে বিকল্প রাস্তা প্রয়োজন। রেল সেই রাস্তা তৈরি করুক। এখন সেখানে একটি সরু রাস্তা আছে, তার উপরে একটি বাজারও রয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, ওই বাজারটিকে সরিয়ে রেলের সীমানা-প্রাচীর ভেঙে বর্তমান পার্কিং লটের উপর দিয়ে রাস্তাটি করতে হবে। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ নিয়ে কিছু জানাননি বলে জানান পুলিশকর্তারা।
গত সোমবারই ওই সাবওয়ে বন্ধ করতে চেয়েছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। কিন্তু বিকল্প রাস্তার না মেলায় পুলিশ তা করতে দেয়নি। যাত্রীদের জন্য বিকল্প রাস্তা পেয়ে গেলে ওই সাবওয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ইতিমধ্যে, স্টেশন এলাকা থেকে পুলিশ দু’টি বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে দিয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের সময়েই তলা দিয়ে আলাদা করে নতুন পথ তৈরির নকশাও হয়ে গিয়েছে।
রেল সূত্রে খবর, ২০০১ সালে ওই সাবওয়েটির উদ্বোধন হয়। ওই সাবওয়ে দিয়ে প্রতিদিন গড়ে কয়েক লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ স্টেশনের সামনের দিকে অনেকটা আটকে রেখে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ চলছে। ফলে সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে স্টেশনের প্রবেশপথ। পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, সাবওয়ে বন্ধ হলেও যাত্রীদের যাতে কোন অসুবিধে না হয়, তার জন্য বিকল্প রাস্তার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে রেলকে। বৃহস্পতিবার পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সকলের কাছ থেকেই প্রস্তাব নেওয়া হচ্ছে। তার পরে খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
|