|
|
|
|
মের্কেলের ফোনে মার্কিন আড়ি পাতা নিয়ে সরব হল জার্মানি
সংবাদ সংস্থা • ব্রাসেলস |
ফ্রান্সের পরে এ বার মার্কিন চরবৃত্তি নিয়ে সরব হল জার্মানি। খোদ চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের মোবাইল ফোনে মার্কিন আড়ি পাতার প্রমাণ তাদের হাতে আছে বলে জানিয়েছে জার্মান সরকার।
আজ ব্রাসেলসে শুরু হচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলির শীর্ষ বৈঠক। নানা সামাজিক ও আর্থিক কারণ নিয়ে আলোচনার জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, এখন মূলত মার্কিন নজরদারি নিয়েই কথা হবে বলে আশঙ্কা অনেকের।
নানা দেশে ফোন ও ইন্টারনেটে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা এনএসএ-র নজরদারি নিয়ে বহু তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন ওই সংস্থারই প্রাক্তন কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন। তার পর থেকেই নানা দেশের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে আমেরিকাকে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা-সহ সব মার্কিন শীর্ষ কর্তাই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাতে বিশেষ ফল হয়নি।
ফ্রান্সে ফোনে বিপুল মার্কিন নজরদারির তথ্য প্রকাশ করেছিল সে দেশের একটি সংবাদপত্র। বিষয়টি নিয়ে কড়া বার্তা দিতে প্যারিসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছিল ফরাসি সরকার। সেইসঙ্গে ব্রাসেলসের শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি তোলার সিদ্ধান্ত নেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ।
আজ জার্মান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, চ্যান্সেলর মের্কেলের মোবাইলে যে আমেরিকা আড়ি পেতেছিল তার প্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ওবামার সঙ্গে কথা বলেছেন মের্কেল। জার্মানির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বার্লিনে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকেও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নি জানিয়েছেন, মের্কেলের ফোনে যে এখন আড়িপাতা হচ্ছে না তা জার্মান চ্যান্সেলরকে জানিয়েছেন ওবামা। ভবিষ্যতেও সে কাজ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, আগে মের্কেলের ফোনে নজরদারি হয়েছে কি না তা নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি নয় আমেরিকা।
কূটনীতিকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তথ্য সুরক্ষা নিয়ে নয়া আইন পাশে জোর দিতে পারে জার্মানি ও ফ্রান্স। তাতে ইউরোপে ব্যবসা করার খরচ বাড়বে গুগল, ফেসবুক ও মাইক্রোসফটের মতো মার্কিন সংস্থার। অনলাইন লেনদেনে নজরদারির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার মধ্যে ‘সুইফট’ চুক্তি রয়েছে। তার মাধ্যমে জঙ্গিদের সম্ভাব্য লেনদেন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে আমেরিকা। কিন্তু স্নোডেনের তথ্য অনুযায়ী, চুক্তি ভেঙে ইউরোপের ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে বেশি তথ্য সংগ্রহ করেছে আমেরিকা। ফলে, গত কাল ‘সুইফট’ চুক্তি মেনে তথ্য বিনিময় সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
তবে প্রাক্তন এক ফরাসি গোয়েন্দা কর্তার মতে, বিষয়টি নিয়ে বড় বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে। জঙ্গিদের সম্ভাব্য লেনদেনের উপরে নজরদারির জন্য তথ্য বিনিময়ের সময়ে সব দেশই একে অপরের উপরেও চরবৃত্তিকরে। এটা সংশ্লিষ্ট সকলেরই জানা আছে। |
|
|
|
|
|