|
|
|
|
সিঙ্গারনে উইঢিবিতে পুজো ‘ভবানী পাঠকের’ কালীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
তিনশো বছর পার করেও রমরমিয়ে চলছে জামুড়িয়ার সিঙ্গারণ কালী পুজো। জেলার সর্বত্র এমনকী ভিন্ জেলা থেকেও বহু মানুষ যোগ দেন এই মেলায়। কার্যত মিলনমেলায় পরিণত হয় এই উৎসব।
এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে, এক সময়ে ডাকাত ভবানী পাঠক এই জঙ্গলে ডেরা বেঁধেছিলেন। তখনই এক দিন স্বপ্নে মা কালী তাঁকে জানান, ওই জঙ্গলে উইঢিবিতে অধিষ্ঠান করছেন তিনি। সেই থেকে শুরু হয় পুজো। তবে বেলবাঁধ গ্রামের প্রবীণেরা জানান, তাঁরা শুনেছেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সিঙ্গারণ কোলিয়ারি চালু করতে এসে ১২ হাত লম্বা চুল পায়। অলৌকিক এই ঘটনা দেখে ৫০০ মিটার দূরে কোলিয়ারি চালু করেন কোম্পানির প্রতিনিধিরা। |
|
এই মন্দিরেই হয় পুজো। —নিজস্ব চিত্র। |
তখন থেকেই পুজোর দায়িত্ব নেন তপসীর বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। পরিবারের এক সদস্য সুবলবাবু জানান, আগে উইঢিবি অপরাজিতা গাছ ঢাকা থাকত। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার পুজোর দায়িত্ব নেওয়ার পরে সেখানে মন্দির তৈরির পরিকল্পনা করে। কিন্তু দেবী স্বপ্নাদেশ দেন, কোনও ঘেরা জায়গায় তাঁর পুজো করা যাবে না। এরপর থেকেই চার দিক খোলা আটচালার মন্দিরে পুজো হয়ে আসছে। সুবলবাবু আরও জানান, পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে তাঁরা জেনেছেন, উইঢিবি পরিস্কার করতে গিয়ে তাঁদের পরিবারের এক জন তিনটি চোখ ও কাঠের পাদুকা পান। উইঢিবির পাশে মাটির বেদিতে তা আজও রাখা আছে।
নিত্য পুজো ছাড়াও কার্তিক মাসে ধুমধাম করে মন্দিরে পুজো হয়। গ্রামবাসীরা জানান, মাস পাঁচেক আগে বেলবাঁধ খোলামুখ খনি লাগোয়া ধস নামলেও মন্দিরের কোনও ক্ষতি হয়নি। সেই থেকে তাঁদের ভরসা আরও বেড়ে গিয়েছে বলে জানান গ্রামের মনোজয় চট্টোপাধ্যায়, তাপস চক্রবর্তীরা। |
|
|
|
|
|