|
|
|
|
বিদ্যুতের তার সরাতে জমি সমীক্ষায় বাধা অন্ডালে
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
রানওয়ের উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের হাইটেনশন তার সরানোর জন্য জমি সমীক্ষায় গিয়ে বাধা পেলেন অন্ডালে প্রস্তাবিত বিমানবন্দর নির্মাণে যুক্ত সংস্থার কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের কাছে ফরিদপুরের পাটশ্যাওড়া গ্রামে জমি মাপজোক ও ছবি তুলতে যান বিমাননগরী নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত বেঙ্গল এরোট্রপলিসের (বিএপিএল) চার কর্মী। তখনই কিছু গ্রামবাসী তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ওই কর্মীদের গ্রামে একটি মন্দিরে বসিয়ে রাখা হয়। স্থানীয় ইছাপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ও পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘণ্টা তিনেক পরে তাঁরা ছাড়া পান। রানওয়ে, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল অফিস সবই ইতিমধ্যে তৈরি অন্ডালে। ১৯ সেপ্টেম্বর কাজী নজরুল ইসলামের নামে বিমানবন্দরের নামকরণও করে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রানওয়ের উপর দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে বিদ্যুতের লাইন যাওয়ায় ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (ডিজিসিএ) এখনও ছাড়পত্র দেয়নি।
বিএপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানবন্দর এড়িয়ে বিদ্যুতের লাইন নিয়ে যেতে হলে অন্ডাল ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের দু’টি করে পঞ্চায়েত এলাকায় জমি কিনতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন প্রায় ৭০ একর জমি। গত ১ অক্টোবর দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের অফিসে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়। কিন্তু জমিমালিকদের তরফে অশোক গড়াই, সনাতন মুখোপাধ্যায়রা এ দিন দাবি করেন, “আগেই আমরা বেশির ভাগ জমি প্রকল্পের জন্য দিয়েছি। ভেবেছিলাম, বিমানবন্দর চালু হলে এলাকার চেহারা পাল্টাবে। কিন্তু এখনও তা চালু হল না। সামান্য যে জমি আছে তা আর দিতে চাই না।”
বিএপিএলের কর্মীরা জানান, জমি নিয়ে গ্রামবাসীর আপত্তির কথা তাঁদের জানা ছিল না। পুলিশ গিয়ে মধ্যস্থতার চেষ্টা করে। ইছাপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান উজ্জ্বল মণ্ডল বলেন, “আমরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে জমি নেওয়ার বিপক্ষে। সমাধানসূত্রের চেষ্টা চলছে।” কর্তৃপক্ষ জানান, প্রশাসন ও এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে দু’টি ব্লকের অন্য সব মৌজায় ঠিক ভাবেই কাজ এগোচ্ছে। |
|
|
|
|
|