‘ওয়াঢ়’ ছবিতে শান শাহিদ। |
আপাতদৃষ্টিতে ছবির বিষয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের লড়াই। এবং ছবিতে এই সন্ত্রাসে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকেই অভিযুক্ত করা হয়েছে। নানা রিপোর্টে এমনটাও বলা হয়েছে যে ছবির খানিকটা অর্থ লগ্নি করেছে পাকিস্তানের মিলিটারি সংগঠন। তবে ছবির পরিচালক বিলাল লাসারি এই গুঞ্জন সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। শান খুব জোর দিয়ে বলছেন, “‘ওয়াঢ়’ একেবারেই ভারত-বিরোধী ছবি নয়। বরং বলা চলে সন্ত্রাস-বিরোধী গল্প। কী ভাবে সন্ত্রাসবাদীরা দিনে দিনে সক্রিয় হয়ে উঠছে এবং পাকিস্তানের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সেটাই নিখুঁত ভাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে ছবিতে।”
ইতিমধ্যে দর্শকদের দিক থেকে নানা রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। অস্কারজয়ী পাকিস্তানি তথ্যচিত্র নির্মাতা শামিন ওবেদ চিনয় টুইট করেছেন এই বলে যে, “‘ওয়াঢ়’ ছবিতে প্রচুর গতানুগতিকতা রয়েছে। সেগুলো অবশ্য আমরা যে ধরনের ভারতীয় ছবি দেখতে যাই সেখানেও থাকে। ভাল লাগুক বা না লাগুক শুধুমাত্র স্থানীয় শিল্পীদের প্রতিভার সম্মান করার জন্য অন্তত ছবিটা দেখতে যান।”
মহেশ ভট্টও ‘ওয়াঢ়’ নিয়ে পাকিস্তানে অনেক তর্কবিতর্ক হচ্ছে বলে শুনেছেন। বললেন, “শুনেছি এ ছবিতে মূল সমস্যার কারণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। যদিও একেবারেই ভারতের নাম নেওয়া হয়নি। আমরাও বলিউডে এই রকম ছবি বানালে সেখানে পাক-বিরোধী সংলাপ থাকে। ‘গদ্দার’, ‘বর্ডার’য়ের মতো ছবি তো দর্শক টেনেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রবিরোধী চিত্রনাট্য দিয়েই। এমনকী ‘ডি-ডে’ ছবিতেও খোলাখুলি ভাবে আইএসআইয়ের কথা বলা হয়েছে। তবে আমি যা শুনলাম ‘ওয়াঢ়’য়ে একবারও ভারতের নাম উচ্চারণ
করা হয়নি।” |
এই ছবিকে ঘিরে এত বিতর্কের পর শান কি আবার শাবানা আজমি-স্মিতা পাটিল অভিনীত ছবি ‘অর্থ’য়ের রিমেক বানাতে পারবেন?
উত্তরে মহেশ ভট্ট বললেন, “আমি ‘ওয়াঢ়’ দেখিনি। কিন্তু এটুকু বুঝি আমাদের এ বার প্রাপ্তমনস্ক হওয়ার সময় এসেছে। ভারত-পাক যুদ্ধের পরেও যখন দু’ দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়নি তখন ‘ওয়াঢ়’য়ের জন্য কেন খারাপ হবে? তিরিশ বছর আগে ছবিটা বানানো হয়েছে। তাই রিমেক করার জন্য আমার কাছে শানের সম্মতি নেওয়ার কোনও দরকারই ছিল না। তবুও এসেছিলেন। এবং ওঁকে আমি ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ও দিয়ে দিই। এও বলেছি রিমেক ছবিটা যে ভারত-পাক সম্প্রীতির উদ্যোগ এটা টাইটেলে উল্লেখ করতে।”
যতই বিতর্কের আবহাওয়া তৈরি হোক না কেন পাকিস্তানের খবর অনুযায়ী ‘অর্থ’ রিমেকের শু্যটিং শুরু হবে লাহৌরে। ডিসেম্বর থেকে। ছবিতে অভিনয় করবেন শান (রাজকিরণের চরিত্রে), হুমাইমা মালিক (স্মিতা পাটিলের চরিত্রে), আলি খান (কূলভূষণ খারবান্দার চরিত্রে), উজমা হাসান (শাবানা আজমির চরিত্রে)। গুজবে এও শোনা যাচ্ছে যে, ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক সালিম-সুলেমানকে এ ছবিতে সুরারোপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সুলেমান বলেছেন, “আমি এই প্রজেক্ট সম্পর্কে এখনও কিছু জানি না।”
|