|
|
|
|
রাস্তা বানাতে উদ্যোগী প্রশাসন
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাস্তা তৈরির পরিকলল্পনা নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু কার জমি তা দেখা হয়নি। পরে দেখা যাচ্ছে, জমি পড়ে গিয়েছে বন দফতরের। রাস্তা করতে গিয়ে বন দফতরের বাধা পেয়ে থমকে দাঁড়াতে হচ্ছে। এ বার জট কাটাতে আসরে নামলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ। বুধবার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তা দেখতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার ও বন দফতরের আধিকারিকেরাও। রাস্তা ঘুরে দেখে বন দফতরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের কথা জানান তিনি। সভাধিপতি বলেন, “কয়েকটি জায়গায় রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সেখানে বন দফতরের জমি রয়েছে। কী ভাবে সেই সমস্যা মিটিয়ে রাস্তা তৈরি করা যায়, তা দেখতেই বেরিয়েছিলাম।” ঝাড়গ্রামের ডিএফও আশিস সামন্ত বলেন, “জঙ্গলের মধ্যে যে রাস্তা রয়েছে তা সংস্কার করলে বা সেখানে নতুন রাস্তা করলে সমস্যা নেই। কিন্তু অন্যত্র রাস্তা করতে হলে বন দফতরের আইন মেনে অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সেটাই জানিয়েছি।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর সদর মহকুমার সদর, শালবনি, গড়বেতা-২-৩ ব্লক এবং ঝাড়গ্রাম মহকুমার প্রায় সর্বত্রই রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষত, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় প্রচুর বরাদ্দ পেয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এড়গোদা, বড়শোল-সহ প্রায় ৩০টি রাস্তার ক্ষেত্রে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোথাও রাস্তা করতে গিয়ে গাছ কাটার প্রয়োজন হয়ে পড়ছে, আবার কোথাও বন দফতরের জমির প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। তখনই আপত্তি জানাচ্ছে বন দফতর। এবার এই ধরনের সমস্যা রয়েছে এমন রাস্তার তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। বন দফতরের আধিকারিকদের হাতে সেই তালিকাও তুলে দেওয়া হয়েছে। কোন রাস্তার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করতে হবে তা-ও জানাতে বলা হয়েছে বন দফতরকে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা চাই দ্রুত গতিতে রাস্তাগুলি নির্মাণ হয়ে যাক। তাতে গতি বাড়বে। এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।” বন দফতরের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। |
|
|
|
|
|