টুকরো খবর
দু’দিনে মনোনয়ন জমা পড়ল চারটি
মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছেন সীমাদেবী। —নিজস্ব চিত্র।
মনোনয়ন পর্বের দ্বিতীয় দিনে আরও ৩টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ল। সবক’টিই নির্দল প্রার্থীর। বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নতুন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর কৃষ্ণা ঘোষ। নির্দল প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়ন দাখিল করেছেন। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্তর দফতরের সামনে পৌঁছন কৃষ্ণাদেবী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী সুভাষময় ঘোষ। সুভাষময়বাবু শহরের প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান। কৃষ্ণাদেবী বলেন, “এলাকার সার্বিক উন্নয়নের সব রকম চেষ্টা করেছি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। আমি আশাবাদী, এলাকার মানুষ এ বারও আমার পাশে থাকবেন। প্রচারে নেমে সাড়াও পাচ্ছি।” নতুন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন সীমা পাণিগ্রাহী। সীমাদেবীর স্বামী শিবু পাণিগ্রাহী তৃণমূলের যুব নেতা। এ বার এই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করেছে এলাকারই বিদায়ী কাউন্সিলর শিপ্রা মণ্ডলকে। দলের প্রার্থী পছন্দ হয়নি শিবুবাবুদের। এই যুব নেতার কথায়, “আমার স্ত্রী নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়বেন। আমরা তৃণমূলেরই কর্মী। এলাকার মানুষ আমাদের প্রার্থীর পাশে রয়েছেন।” মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ২৯ অক্টোবর। পরের দিন অর্থাৎ, ৩০ অক্টোবর মনোনয়নপত্র পরীক্ষা হবে। ১ নভেম্বর প্রত্যাহারের দিন ধার্য্য হয়েছে। মঙ্গলবার একটি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। অর্থাৎ, দু’দিনে সব মিলিয়ে ৪টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়ল।

পুকুরের জলে হাড়গোড়, খুলি
পুকুরের জলে হাড়গোড় ভেসে ওঠায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। বুধবার সকালে মোহনপুরের গোটসাণ্ডায় একটি পুকুরে কিছু হাড়গোড় ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেয়। ওই পুকুর থেকে একটি খুলি ও কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করে মোহনপুর থানার পুলিশ। এছাড়াও জলে ভেসে ওঠা একটি জামা-প্যান্টও উদ্ধার হয়েছে। হাড়গোড়ের সঙ্গে ভেসে ওঠা জামা দেখে ওই কঙ্কালটি নিজের নিখোঁজ দাদা বাবুল খাঁর (৩০) বলে দাবি করেন এলাকার মথুরিবাড়ের বাসিন্দা আবুল খাঁ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহনপুর বস্তির মেয়ে জাহেদা বিবির সঙ্গে বছর দশেক আগে বিয়ে হয় মথুরিবাড়ের বাবুলের। তবে মাস দু’য়েক আগে বাড়িতে অশান্তি হওয়ায় বাপের বাড়িতে চলে আসেন জাহেদা। এর পর গত ৫ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে বাবুল নিখোঁজ হয় বলে তাঁর পরিবারের দাবি। গত ৭ সেপ্টেম্বর মোহনপুর থানায় তাঁর নামে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। ওই ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই কৌতুহলবশত পুকুরপাড়ে ভিড় জমান গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন গত সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ থাকা বাবুলের ভাই আবুল। ওই ঘটনার তদন্তের দাবি জানান আবুল খাঁ। আজ, বৃহস্পতিবার ওই হাড়গোড় ও খুলিটি খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হবে। স্থানীয় শিয়ালসাই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নিমাই বেরা বলেন, “ওই ঘটনার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ধৃত ছয়
মিছিল করা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ডেবরা থানার পুলিশ তাঁদের ধরে। ধৃত ছ’জনের বাড়ি ভরতপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে ডেবরা থানা এলাকায় তৃণমূলের পতাকা নিয়ে মিছিল করছিল বাহাদুরপুর গ্রামের একদল মানুষ। সেই সময় তৃণমূলের অন্য একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে জগন্নাথপুরের কাছে হাতাহাতি বাধে। পরের দিন, মঙ্গলবারও বাহাদুরপুর এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এলাকার জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য বিবেক মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “ওই দিন কিছু সিপিএমের কর্মী আমাদের দলে যোগ দেওয়ার নাম করে আমাদের পতাকা নিয়ে মিছিল করছিল। সেই সময় ওঁরা আমাদের এক পঞ্চায়েত সদস্য ও এক যুব নেতার ওপর হামলা করে। তার জেরেই গণ্ডগোল।” সিপিএমের ডেবরা জোনাল সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডলের পাল্টা দাবি, “তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে সংঘর্ষ হয়েছে।”

খুনের ঘটনায় ধৃত অভিযুক্ত

বচসার জেরে এক তরুণকে গুলি করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন ওই মামলার মূল অভিযুক্ত। বুধবার ভোরে গৌরব গোপ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। ধৃতের বাড়ি খড়্গপুরের ইন্দার গোয়ালাপাড়ায়। এ দিন ধৃতকে মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ইন্দার আনন্দনগরে খুন হন সুরজিৎ বসু (২১)। ওই দিন রাতে আনন্দনগর সংলগ্ন রামকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা সুরজিৎ বন্ধুর মোবাইল দোকানে শুতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় স্থানীয় একটি হোটেলের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বহিরাগত কিছু যুবকের সংঘর্ষ চলছিল। ওই গণ্ডগোলে সুরজিৎ জড়িয়ে পড়লে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এর পর তদন্তে নেমে তাঁর দু’জন সঙ্গীকে জেরা করে পুলিশ। গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে ওই হোটেলে কর্মরত অবস্থায় দেবব্রত সিংহ নামে এক নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পলাতক ছিল ঘটনার মূল অভিযুক্ত ওই হোটেলের কর্মী গৌরব। পুলিশ এ দিন ভোরে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে গৌরবকে।

বধূর অপমৃত্যু, ধৃত শ্বশুর-শাশুড়ি
বধূ হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দু’জন। মঙ্গলবার রাতে সবংয়ের ভেমুয়া গ্রাম থেকে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক বধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের নাম মিঠু বেরার (৩২)। এ দিন রাতেই মৃতার বাবা ভোলানাথ বেরা সবং থানায় স্বামী নির্মল বেরা, শ্বশুর সুকুমার বেরা ও শাশুড়ি কানন বেরার বিরুদ্ধে মেয়েকে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার ভোরে পুলিশ মৃতার শ্বশুর, শাশুড়িকে গ্রেফতার করে। স্বামী পলাতক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা মিঠুর সঙ্গে বছর পনেরো আগে বিয়ে হয়েছিল একই গ্রামের বাসিন্দা নির্মলের। তাঁদের একটি বারো বছরের ছেলে রয়েছে। পেশায় শ্রমজীবী নির্মলের মদ্যপান করা নিয়ে বাড়িতে অশান্তি চলছিলই। ভোলানাথবাবুর অভিযোগ, তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মেয়েকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মারধরে মৃত্যু
মারধরে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম বিশ্বনাথ মুর্মু (৬৫)। বাড়ি গড়বেতার আমলাগোড়ার কুড়চিডাঙ্গায়। বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাটি মঙ্গলবারের। ওই দিন দুপুরে মাঠে গরু আনতে যাওয়ার পথে গ্রামেরই কয়েক জন যুবকের সঙ্গে ওই বৃদ্ধের বচসা বাধে। উত্তেজনা বাড়লে যুবকেরা বাঁশ নিয়ে বৃদ্ধের উপর হামলা করে। গুরুতর জখম অবস্থায় মেডিক্যালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বুধবার দুপুরে মৃত্যু হয়। মৃতের ভাই লক্ষ্মীরাম মুর্মু গড়বেতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.