|
|
|
|
|
মেদিনীপুরে ফ্রন্টের দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ |
ময়দান ছাড়লেন সিপিআই প্রার্থী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধান। এই সময়ের মধ্যে এক বাম প্রার্থী ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ালেন। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে মেদিনীপুর শহরের রাজনৈতিক মহলে। প্রথম দফায় ১০ অক্টোবর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বামফ্রন্ট। ওই দিন নতুন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই প্রার্থী হিসেবে বরুণবিকাশ দে’র নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় বুধবার কয়েকজন প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণকুমার ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করেছে ফ্রন্ট।
মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে কেন প্রার্থীপদে রদবদল? বামফ্রন্ট কী এখনও সমস্ত কিছু গুছিয়ে উঠতে পারছে না? জবাবে ফ্রন্ট নেতা তথা সিপিএমের মেদিনীপুর শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক কীর্তি দে বক্সী বলেন, “নাম ঘোষণার পর থেকেই ওঁকে (আগের প্রার্থীকে) ভয় দেখানো হচ্ছে। শহরেও সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের এই সিদ্ধান্ত।” ফ্রন্ট নেতৃত্বের নালিশ, শুধু ওই এলাকাতেই নয়, শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় তৃণমূলের বাহিনী দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করেছে। সবে মনোনয়নপর্ব শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসের নালিশ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। নতুন ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে স্বপন চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। স্বপনবাবু এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর। তাঁর কথায়, “কাউকে ভয় দেখানো হয়নি। কেউ যদি ওদের (বামেদের) প্রার্থী হতে না-চান, আমরা কী করব! নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতেই ওরা অপপ্রচার করছে। মানুষ জানেন কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যে।”
আগামী ২২ নভেম্বর মেদিনীপুর পুরসভার নির্বাচন। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপর্ব। তবে, কোনও দলই এখনও পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। প্রথমে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল বামফ্রন্ট। প্রথম দফায় ১০ অক্টোবর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে ফ্রন্ট। ওই দিন সব মিলিয়ে ২৫টির মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ডের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় দফায় বুধবার আরও ৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হল। নতুন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি ফ্রন্ট। এই ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থী দেওয়ার কথা। এদিন সিপিএমের শহর জোনাল অফিসে দ্বিতীয় দফার তালিকা প্রকাশ হয়। ছিলেন জোনাল সম্পাদক কীর্তি দে বক্সী, জোনাল কমিটির সদস্য সারদা চক্রবর্তী প্রমুখ।
২০০৮ সালের নির্বাচনে সিপিআইয়ের জন্য ৪টি আসন বরাদ্দ হয়েছিল। ফরওয়ার্ড ব্লকের জন্য ২টি। এবং আরএসপির জন্য ১টি। এ বারও আসন বণ্টনের ছবিটা একই রয়েছে। প্রত্যাশিত ভাবে নতুন ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণার স্ত্রী ভারতী রাণা। ভারতীদেবী দলের মহিলা সংগঠন ‘পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতি’র জেলা সম্পাদিকা। শহরের নজরকাড়া ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে এই ওয়ার্ড একটি। কারণ, এখান থেকেই জেতেন প্রণব বসু। প্রণববাবু শহরের বিদায়ী পুরপ্রধান। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর কীর্তিবাবু বলেন, “বাম ঐক্য নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছিল। এ বার সার্বিক বাম ঐক্য হয়েছে। তা তালিকা দেখলেই বোঝা যাবে।” পাশাপাশি, তাঁর দাবি, “পুরভোটে তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হবে না।”
আজ, বৃহস্পতিবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে কংগ্রেস। দলের শহর সভাপতি সৌমেন খান বলেন, “শহরের সবক’টি ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী থাকবে। বৃহস্পতিবার তালিকা প্রকাশিত হবে।” |
|
|
|
|
|