বহরমপুর পেরেছে। কিন্তু কান্দি এখনও পারেনি। তাই ফের প্ল্যাস্টিক ক্যারি ব্যাগ বন্ধে উদ্যোগী হয়েছে কান্দি পুরসভা।
কান্দি পুরসভা সূত্রে খবর, ৩০ মাইক্রনের ঊর্ধ্বে ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করা যাবে। কাগজের ঠোঙায় জিনিসপত্র দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছে আর্জি জানানো হবে বলেও খবর। ইতিমধ্যেই পুর কর্তৃপক্ষ শহরে ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করে দূষণমুক্ত শহরের পরিবেশ গড়ে তোলায় উদ্যোগী হয়েছে। পুজোর আগে শহরের প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছে। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, সর্বদল বৈঠকে ক্যারিব্যাগ বন্ধের বিষয়ে সম্মতি মিলেছে। কান্দি পুরসভার পুরপ্রধান কংগ্রেসের গৌতম রায় বলেন, “সাংসদ অধীর চৌধুরী চান মুর্শিদাবাদ জেলায় দুষণ মুক্ত পরিবেশ গড়ে উঠুক। তাঁর ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েই ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য পুরসভা যে এই প্রথম বার পদক্ষেপ করল, এমন নয়। বছর খানেক আগেও পুর কর্তৃপক্ষ শহরে বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে ক্যারিব্যাগ বন্ধ করার জন্য আর্জি জানানোর পাশাপাশি মাইক নিয়ে প্রচার করেছিল। পরে পুরপ্রধান গৌতমবাবু কাউন্সিলর ও পুরকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাজারে ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযান করার পাশাপাশি মুচলেকায় স্বাক্ষর করিয়ে জরিমানা আদায় করে। কিন্তু সেই শেষ।
পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। সিপিএমের কান্দি জোনাল কমিটির সম্পাদক কাজল চক্রবর্তী বলেন, “প্ল্যাস্টিক ক্যারিব্যাগ শহর থেকে নির্মূল হোক সেটা আমরাও চাই। পুরসভা আগেও এই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সেটা কার্যকর হয়নি। প্রতিবারের মতো এ বারও আমরা সবরকম সহযোগিতা করব।” তৃণমূলের কান্দি শহরের সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী বলেন, “ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে ওই ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে পারছে না বতর্মান পুর বোর্ড।”
এ বার পুরসভা ওই ক্যারিব্যাগ বন্ধ করার জন্য বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে অভিযান করার আগে পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছে। সঙ্গে ক্যারিব্যাগ থেকে পরিবেশ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিফলেটের মাধ্যমে তারও প্রচার চলবে। এ ছাড়াও শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেমন বাসস্ট্যান্ড, মহকুমা আদালত, হাসপাতাল, বাজার এলাকা, স্কুল-কলেজের সামনে ক্যারিব্যাগ বন্ধ করার জন্য বড় আকারের হোর্ডিং টাঙানোর পরিকল্পনাও নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। পুরপ্রধান কংগ্রেসের গৌতম রায় বলেন, “প্রথমে সচেতনতা শিবির করা হবে। তাতে কাজ না হলে পরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |