আসন্ন তৃতীয় দফার নিলামে টুজি স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর কমানোর সিদ্ধান্তেই অনড় থাকল টেলিকম রেগুলেটরি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই)। বুধবার ট্রাই তাদের পুরনো সুপারিশই উল্লেখ করে জানিয়েছে, ৯০০ মেগাহার্ৎজ স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর ৬০% কমানো উচিত। একই ভাবে ১৮০০ মেগাহার্ৎজ স্পেকট্রামের ন্যূনতম দরও ৩৭% কমানোর পক্ষেই সওয়াল করেছে তারা।
আগামী জানুয়ারিতে ওই নিলাম হওয়ার কথা। সেই নিলামেরই বিভিন্ন ব্যান্ডের স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর নিয়ে টেলিকম দফতর (ডট) ও ট্রাই-এর অবস্থান ভিন্ন। গত মাসেই ওই ন্যূনতম দর কমানোর পক্ষে ট্রাই সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশ নিয়েই প্রশ্ন তুলে ডট ট্রাই-কে তা পুনির্বিবেচনার আর্জি জানায়। ডটের বক্তব্য, আগামী ২০ বছরে এই স্পেকট্রাম ব্যবহারের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা যতখানি, তা ২জি পরিষেবার বহরের চেয়ে বহু গুণ বেশি। কিন্তু সেই পরিপ্রেক্ষিতে স্পেকট্রামের দরের বিষয়টি ট্রাইয়ের হিসেবে ঠিক মতো প্রতিফলিত হয়নি। হিসেব যথেষ্ট স্বচ্ছ নয়ও বলেও অভিমত ডটের। যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে ট্রাই-এর পাল্টা দাবি, তথ্য ও হিসেব কষার বিভিন্ন পদ্ধতি, সবই স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর নিয়ে তাদের সুপারিশের ক্ষেত্রে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ৮০০ মেগাহার্ৎজ স্পেকট্রামের এখনই নতুন করে নিলামের প্রয়োজনয়ীতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ট্রাই। এ ক্ষেত্রেও পুরনো অবস্থানেই অনড় থেকে ট্রাই বলেছে, এ নিয়ে তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। তাদের যুক্তি, এই স্পেকট্রেমার চাহিদা কার্যত নেই। কারণ গত মার্চের মাত্র একটি সংস্থা নিলামে অংশ নিয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ট্রাই-এর সুপারিশ নিয়ে কয়েক দিনেই রিপোর্ট দেবে ডট-এর কমিটি। তারপর ২৯ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলিকে নিয়ে গঠিত টেলিকম কমিশনের বৈঠকে তা পেশ করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত পরে পাঠানো হবে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মন্ত্রিগোষ্ঠীর কাছে। তারাই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। |