টুকরো খবর
সিপিএম সদস্যাকে মারধরের অভিযোগ
সাধারণ সভায় বচসাকে কেন্দ্র করে সিপিএম-তৃণমূল বিবাদের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ময়ূরেশ্বরের ঝিকড্ডা পঞ্চায়েত। সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রধানকে নিগ্রহ এবং পঞ্চায়েতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। অস্বীকার করে সিপিএমের পাল্টা দাবি, তাঁদের এক পঞ্চায়েত সদস্যাকে নিগ্রহ করেছে তৃণমূলের লোকজন। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বিকেল তিনটে নাগাদ। সিপিএমের ময়ূরেশ্বর জোনাল কমিটির সম্পাদক অরূপ বাগ অভিযোগ করেন, “পুজোয় কাপড় বিতরণে তৃণমূলের প্রধান দলবাজি করেছেন। বিভিন্ন কাজে আমাদের সদস্যদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলতেই প্রধানের স্বামী আমাদের এক মহিলা সদস্যকে নিগ্রহ করে।” তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি কাজল সাহা বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। পঞ্চায়েতের ক্ষমতা হাতাতে না পেরে ওরা পরিকল্পিত ভাবে পঞ্চায়েতে হামলা চালায়।” প্রসঙ্গত, এর আগেও বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ওই পঞ্চায়েতে সিপিএম-তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তাতে আহত হয়েছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন জেলাসভাধিপতি তথা বিধায়ক ধীরেন লেট। ওই পঞ্চায়েতে ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৮, সিপিএম ৬, সিপিআই ১ এবং নির্দল ১টি আসন পায়। কিন্তু বিরোধী সদস্যদের বোর্ড গঠনের দিন পঞ্চায়েতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ সিপিএমের। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বোলপুরে প্রতিবাদ মিছিল
দলীয় কার্যালয় ‘দখলে’র প্রতিবাদে বুধবার মিছিল করল সিপিএম। পুলিশ প্রশাসনের একাংশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে পাড়ুই থানার সাত্তোর পঞ্চায়তে সিপিএমের উত্তর কোপাই লোকাল কমিটির কার্যালয় দখলের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের বোলপুর জোনাল কমিটি সম্পাদক উপল রুদ্রের অভিযোগ, “সোমবার উত্তর কোপাই লোকাল কমিটির কার্যালয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঢুকে ফাইল এবং দরকারি কাগজপত্র চুরি করে। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে, দলীয় কার্যালয় দখলের আশঙ্কা করে অভিযোগ করা হয়েছিল। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।”

বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
২০১১ সালের মে মাসে বাহিরি গ্রামে দলের অজয় লোকাল কমিটি বন্ধ করা, বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পাশে কোপাই লোকাল কমিটি কার্যালয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনকোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ সিপিএমের। পুলিশ জানায়, নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ঠিক নয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

মহিলার দেহ উদ্ধার
শান্তিনিকেতন তদন্তকেন্দ্র লাগোয়া মাঠে বুধবার রাতে এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম রীনা দাস(৪১)। বাড়ি বোলপুর পুরসভার ভকতভাই রোডে। তাঁকে খুন করেছেন দাবি করে চন্দয় বয়রা নামে সেচ বিভাগের এক কর্মী পুলিশের কাছে বিষাক্ত কিছু খেয়ে আত্মসমর্পণ করেন। শান্তিনিকেতনের সীমান্তপল্লির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। তবে রাত পর্যন্ত অভিযোগ হয়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.