ছাগলে ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বোমাবাজিতে মৃত্যু হল এক সিপিএম সমর্থকের। মৃতের নাম নেপাল মাল (৫৩)। বাড়ি মাড়গ্রাম থানার বামদেবপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে গুরুতর জখম অবস্থায় নেপালবাবুকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়। বিকেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় অতীন মাল নামে আর এক সিপিএম সমর্থক বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি আছেন। ১২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন নেপাল মালের পরিবার। রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কোটেশ্বর রাও বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে পুরনো বিবাদের জেরে বোমাবাজির ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ১২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দখলবাটি পঞ্চায়েতের অধীন বামদেবপুর গ্রামে এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামফ্রন্ট প্রার্থী জয়ী হন। দখলবাটি পঞ্চায়েত বামফ্রণ্ট দখলে নেয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই বামদেবপুর গ্রামে ছোটখাটো গণ্ডগোল লেগেই থাকে। তিন দিন আগে ফসল খাওয়াকে একটি ছাগলের মৃত্যু হয়। এর পর মঙ্গলবার সকাল থেকে গ্রামে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রাতে একপক্ষ বোমা বাঁধার পর সেগুলি গ্রামের বাইরে ফাঁকা রাস্তায় পরীক্ষা করার জন্য ফাটাছিল। সে সময় গ্রামের দুই একজন জখম হয়। এর পর গ্রামে গণ্ডগোল ছড়িয়ে পড়ে। রাতে পুলিশ পৌঁছলেও সাময়িক ভাবে বোমাবাজি থামলেও বুধবার সকাল থেকে ফের বোমাবাজি শুরু হয়। সিপিএমের রামপুরহাট ১ জোনাল সম্পাদক গোলাম কুদ্দুসের অভিযোগ, “ওই গ্রামের তৃণমূল কর্মী পূর্ণেন্দু মণ্ডলের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা আমদের সমর্থকের উপর হামলা করেছে।” পুর্ণেন্দুবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তৃণমূলের রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন বলেন, “কী ঘটেছে না জেনে বলতে পারব না।” |