জন্মের আগেই বিশ্ব জুড়ে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল উইলিয়াম-কেটের অনাগত সন্তান। জন্মের পরেই সেই এক রত্তি জর্জকে নিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছিল সারা ব্রিটেন তথা সারা দেশ।
এ বার সিংহাসনের সেই খুদে উত্তরাধিকারীর খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পালা। তা নিয়েই আরও এক বার হুজুগে মেতেছে দেশ।
আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবেরির পৌরোহিত্যে বুধবার অনুষ্ঠিত হল এই ধর্মগ্রহণ অনুষ্ঠান। সাধারণত বাকিংহাম প্যালেসের মিউজিক রুমেই এই ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়। কিন্তু এ বার সেই প্রথা ভেঙে মধ্য লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসকে বেছে নেওয়া হয় অনুষ্ঠানের জন্য।
মূলত রাজকুমার উইলিয়ামের ইচ্ছেতেই এই পরিবর্তন। ডায়ানাকে মৃত্যুর পরে সমাহিত করা হয়েছিল এই সেন্ট জেমস প্যালেসেই। উইলিয়াম চেয়েছিলেন, তাঁর মায়ের স্মৃতি জড়ানো সেই জায়গাতেই জর্জের খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণের অনুষ্ঠানটি হোক।
|
অনুষ্ঠান শেষে। ছবি: এএফপি। |
আগের দিন থেকেই মধ্য লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসের বাইরে ভিড় জমাতে শুরু করেন আত্মীয়-পরিজন। সংবাদমাধ্যমের দল তো রীতিমতো তাঁবু খাটিয়ে আস্তানা গেড়ে ফেলেন সেখানে।
কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কিছুই। রাজ পরিবারের এই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানটি আগাগোড়া বাঁধা ছিল অত্যন্ত নিচু তারে। সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার তো দূরের কথা, খুব ঘনিষ্ঠ কয়েক জন আত্মীয়-বন্ধু ছাড়া কেউই নিমন্ত্রিত হননি অনুষ্ঠানে। মেরেকেটে ২২টি পরিবারের উপস্থিতিতেই সেরে ফেলা হল অনুষ্ঠান।
ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, এ দিন ছোট্ট জর্জ সেজেছিল লেসের কাজ করা দুধ সাদা সাটিনের জামায়। ১৮৪১ সালে রানি ভিক্টোরিয়ার বড় মেয়েকে ‘প্রিন্সেস রয়্যাল’ উপাধি দেওয়ার সময়ে যে পোশাক পরানো হয়েছিল, সেই পোশাকটির আদলেই তৈরি হয় জর্জের পোশাকটি। |