ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক স্কুলছাত্রের। বুধবার কাটোয়া-দাঁইহাট রোডে বেড়া ঘোষপাড়ার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে কাটোয়ার দু’জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট-সহ বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দেহটি উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। |
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সাড়ে ১০টা নাগাদ দাঁইহাট হাইস্কুলের তিন ছাত্রকে ধাক্কা মারে ট্রাক্টরটি। ঘটনাস্থলেই মারা যায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র দিব্যেন্দু রায়। জখম হয়ে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি হয় সপ্তম শ্রেণির বিশ্বনাথ সরকার ও দশম শ্রেণির বিশ্বজিৎ সরকার। তিন জনেরই বাড়ি বেড়া গ্রামের মধ্যপল্লী এলাকায়। ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা ওই ট্রাক্টর চালককে মারধর করে। ভাঙচুর করা হয় ট্রাক্টরটিও। পরে পুলিশ গিয়ে ট্রাক্টর চালক দিলীপ দেবনাথকে উদ্ধার করে। তাঁকে কাটোয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
|
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতোই ওই তিন ছাত্র সাইকেলে স্কুলে যাচ্ছিল। বেড়া ঘোষপাড়ায় উল্টো দিক এক ট্রাক্টর এসে সোজা তাদের ধাক্কা মারে। হাসপাতালে শুয়ে আহত বিশ্বনাথ বলে, “ট্রাক্টরটি দুলতে দুলতে আসছিল। ভয় পেয়ে আমরা তিন জন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পড়ি। কিন্তু ট্রাক্টরটি সোজা এসে ধাক্কা মারে। আমি সাইকেল নিয়ে নর্দমায় পড়ে যাই। আর কিছু মনে নেই।” চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বিশ্বনাথের পায়ে ও বিশ্বজিতের মাথায়, কোমরে আঘাত লেগেছে। এরপরেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে কাটোয়া-দাঁইহাট রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসী। বিক্ষোভের জেরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করতেও পারেনি। স্থানীয়রাই জানান, মৃত ছাত্রের বাবা দেবাশিস রায় ঘুগনি বিক্রি করে এবং মা শ্যামলীদেবী বিড়ি বেঁধে সংসার চালান। দুই মেয়েও রয়েছে তাঁদের। প্রায় দু’ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে কাটোয়ার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুরেশ রানো ও কমল ভট্টাচার্য বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে এলাকায় হাজির হন। পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে যেতেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় জনতা। অবরোধও উঠে যায়। পুলিশ ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। |