বাম আমলে রাজ্য কৃষি দফতরে ৩৩১টি শূন্য পদে যাঁরা বাছাই হয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার জন্য সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পাশাপাশি, ওই প্রার্থী বাছইয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।
কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটকের অভিযোগ, “বাম আমলে নিয়োগের জন্য যে ৩৩১ জনকে বাছাই করা হয়েছিল, তাঁর মধ্যে অনেক গলদ রয়েছে। আমরা প্রাথমিক ভাবে খতিয়ে দেখেছি, বাছাইদের মধ্যে অনেকেই তদানীন্তন সরকারের মন্ত্রী, অফিসার এবং রাজনৈতিক নেতাদের আত্মীয়স্বজন। এই জন্যই সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের তো কোনও অপরাধ নেই। তাই তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, “এই জন্যই আমরা আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছি। নিয়োগ পরীক্ষার মধ্যেও স্বজনপোষণ করা হয়েছে বলে আমরা মনে করছি।”
করণিক নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ২০০৭ সালে। ওই বছরের ১২ অক্টোবর বিজ্ঞাপন দিয়ে ৩৩১ জন করণিক (এলডিসি) নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র চায় কৃষি দফতর। প্রায় ৮০ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়ে। ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪৪ হাজার ৪৫০ জন। কৃষি দফতর সফলদের তালিকা প্রকাশ করে ২৯ ডিসেম্বর। এই তালিকা নিয়েই হইচই শুরু হয়। পুরো প্যানেল বাতিলের দাবি ওঠে। বিরোধ গড়ায় শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। |