প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) সমর্থকদের ভাঙচুরের ঘটনায় সরাসরি কোনও সুপারিশ করল না রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। তবে ওই ঘটনার সূত্র ধরে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে সরকারকে উপযুক্ত নিয়মাবলি তৈরি করতে বলেছে তারা। কমিশনের মতে, পুলিশ অনেক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়।
কমিশন মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের কাছে তাদের সুপারিশ পাঠিয়েছে। প্রেসিডেন্সির ওই গণ্ডগোলের ঘটনায় নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও নির্দেশ তাতে নেই। গত ১০ এপ্রিল টিএমসিপি-র পতাকা হাতে নিয়ে যে বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছিল, তাদের ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা কমিশনের সুপারিশে নেই। তবে কমিশনের ফুল বেঞ্চের সুপারিশ, স্পষ্ট আইন-কানুন থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের বেআইনি কার্যকলাপ রোখার ব্যাপারে তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে পারে না। তাই রাজ্য এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করুক। সুপারিশ হাতে পাওয়ার পর দু’মাসের মধ্যে রাজ্যকে এই নিয়মাবলি তৈরি করতে হবে বলে কমিশনের রেজিস্ট্রার রবীন্দ্রনাথ সামন্ত জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রেসিডেন্সির ঘটনার কথা জেনে মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তদন্ত করে দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, প্রেসিডেন্সির প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায়কে দিয়েও কমিশন ওই ঘটনার তদন্ত করায়। দু’টি রিপোর্ট পাওয়ার পরে কমিশন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থ, জোড়াসাঁকো থানার ওসি সিদ্ধার্থ দত্ত, ওই থানার সাব ইন্সপেক্টর সাধনচন্দ্র সিংহ এবং কনস্টেবল কার্তিকচন্দ্র ঘোষকে ডেকে পাঠায়। তাঁদের বক্তব্য কমিশন নথিবদ্ধ করে।
পুলিশ কমিশনার মানবাধিকার কমিশনের কাছে দু’সপ্তাহ সময় চান। ওই সময়ে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সোমেন মিত্রকে দিয়ে পুলিশি ভূমিকার তদন্ত করানো হয়। সেই তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে জোড়াসাঁকো থানার ওই তিন পুলিশ অফিসার ও কর্মীকে পুলিশ কমিশনার সতর্ক করে দেন এবং তা তাঁদের সার্ভিস বুকেও লেখা হয়।
কিন্তু তাঁদের এ দিনের সুপারিশে প্রেসিডেন্সির ঘটনায় নির্দিষ্ট সুপারিশ নেই কেন? কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, “যা সুপারিশ করা হয়েছে, রাজ্য সরকার সেটা অন্তত করুক।” রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই প্রসঙ্গে বলেন, “সুপারিশ হাতে না পেয়ে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.