|
|
|
|
অনুমতির অপেক্ষা না করেই বিদেশে, সরলেন বিদ্যুৎ-কর্তা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান বরুণ রায়কে ‘কম্পালসরি ওয়েটিং’-এ পাঠাল রাজ্য সরকার। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, তাঁর অনুমতি ছাড়াই বরুণবাবুর বিদেশ সফরে গিয়েছেন জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশেই জরুরি ভিত্তিতে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বরুণবাবুকে। মঙ্গলবার সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন দুর্গাদাস গোস্বামী। তিনি ছিলেন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যের কোনও আইএএস বা আইপিএস অফিসারকে বিদেশে যেতে হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র কর্মিবর্গ দফতরের মন্ত্রীর অনুমতি নিতে হয়। পশ্চিমবঙ্গে এই দফতর মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতেই। তাই বরুণবাবুর বিদেশ সফরের অনুমতি চেয়ে আবেদনের ফাইল বিদ্যুৎ দফতর মারফৎ পাঠানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সূত্রের খবর, পুজোর ছুটিতে অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে যাবার অনুমতি চেয়েছিলেন বরুণবাবু। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতির অপেক্ষা না করেই তিনি রওনা হয়ে যান। এতেই ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন নবান্নে সরকারের এক কর্তা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতির অপেক্ষা না করে বিদেশে চলে যাওয়া নিয়মভঙ্গের সামিল। সেই জন্যেই হয়তো মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত।”
স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে আইপিএস অফিসার কৃষ্ণ হরিরাজন ব্যক্তিগত কারণে বিদেশে যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন। সেই অনুমতি আসতে দেরি করায় হরিরাজন বিদেশ সফর বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রায় শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন মেলায় তিনি বিদেশে যান।
সরকারের একাধিক অফিসারের বক্তব্য, আইএএস-দের বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী কড়া মনোভাব নিয়ে চলছেন। তিনি মনে করেন, সরকারের কাজ ফেলে রেখে বিদেশ যাওয়া অনুচিত। প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য রাজ্যের তিন আইএএস অফিসারের বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এক জনকে যাওয়ার অনুমতি দেন। ফলে বাকি দু’জন যেতে পারেননি। কিছু দিন আগে কারিগরি শিক্ষা দফতরের সচিব হৃদেশ মোহন মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই বিদেশে গিয়েছিলেন। কিন্তু জঙ্গলমহল সফরে গিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে হঠাৎই তাঁর খোঁজ করেন মুখ্যমন্ত্রী। যখন জানতে পারেন হৃদেশ মোহন বিদেশে রয়েছেন, তখনই তাঁকে সচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপে মোহনকে সরতে হয়নি। |
|
|
|
|
|