ধান খেতে চড়াও হয়ে এক তৃণমূল কর্মীকে টাঙ্গি দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল পাত্রসায়রের নেত্রখণ্ড গ্রামে। নিহতের নাম নবকুমার ঘোষ (৪৭)। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি। এলাকায় একটি খেলার মাঠ দখল করা নিয়ে রবিবার নেত্রখণ্ডে মারপিট হয়। সেই উত্তেজনার রেশের মধ্যেই সোমবার তাঁকে খুন করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “প্রাথমিক ভাবে অনুমান, এই খুনের পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ নেই। খেলার মাঠের গণ্ডগোলের জেরে ওই খুন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে।” মঙ্গলবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের সন্ধান চলছে।
পাত্রসায়রের নেত্রখণ্ড মৌজায় গ্যারোলডাঙা গ্রামের পাশে একটি খেলার মাঠ রয়েছে। নেত্রখণ্ড, সোনাটিকুরি, কেশবপুর ও গ্যারোলডাঙার ছেলেরা ওই মাঠে খেলাধুলা করে। সেই মাঠ কাদের দখলে থাকবে তা নিয়ে সম্প্রতি নেত্রখণ্ড ও গ্যারোলডাঙার কিছু কমবয়সি ছেলের মধ্যে বিরোধ বাধে। রবিবার বিকেলে ওই মাঠে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটও হয়। জখম হয় কয়েকজন। নবকুমারবাবুর পরিবারের কয়েকজনও ওই মাঠে খেলতে যায়।
নিহতের ভাই কানন ঘোষের অভিযোগ, “সোমবার সকালে দাদা ধানখেতে ছিল। হঠাত্ গ্যারোলডাঙ্গার সুকুমার বাগদি, ভৈরব বাগদি, মধু বাগদি-সহ ২৫-৩০ জন টাঙ্গি, বল্লম, তির নিয়ে চড়াও হয়। দাদার মাথায় টাঙ্গির কোপ মারে। এই খুনের পিছনে পুরনো আক্রোশ রয়েছে।” আশঙ্কাজনক অবস্থায় নবকুমারবাবুকে প্রথমে পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। রাতে তাঁকে বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে বর্ধমানের কাছে মৃত্যু হয়।
তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “নবকুমারবাবু দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। খেলার মাঠ নিয়ে বিরোধের অছিলায় গারোলডাঙার কিছু দুষ্কৃতী ব্যক্তিগত হিংসার জেরে ওকে খুন করেছে।” অভিযুক্তদের পরিবারের তরফে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। |