|
|
|
|
|
অশ্বিনকেও বিশ্রাম
দেওয়া যেতে পারে রবি শাস্ত্রী |
|
সিরিজটা যে ভাবে এগোচ্ছে, তাতে টস একটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। টস জিতে ফিল্ডিং নাও আর যে কোনও রান তাড়া করে তুলে দাও। এই আপাতত হয়ে গিয়েছে দুটো টিমের মন্ত্র। রাঁচিতেও মনে হয় না অন্য রকম কিছু হবে।
কেন, সেটাও জলের মতো পরিষ্কার। দু’টো দলের দিকে তাকান। শুধু ব্যাটিংটাকেই যদি ধরেন, তা হলে দুই শক্তিকেই আক্ষরিক দৈত্যের মতো দেখাচ্ছে। দু’দলই যেন মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে, অনায়াসে যে কোনও লক্ষ্য ধরে ফেলবে। দু’দলেরই একই রকম শক্তি, এক দুর্বলতার ধরনটাও। আর প্রথমে ব্যাট করছে যারা তাদের সামনে যেন ঘোর অনিশ্চয়তা। কিছুতেই বুঝতে পারছে না, ঠিক কত রান তুললে ম্যাচ হাতে থাকলেও থাকতে পারে। পাশাপাশি দেখুন, পরে ব্যাট করলে শৃঙ্গজয় যেন অবশ্যম্ভাবী, সবাই যেন জানে কখন ঝড় তুলতে হবে, বেধড়ক পেটানোর জন্য কোন বোলারকে বাছতে হবে। সত্যি কথা বলতে, এই সিরিজে কোনও টিম টস জিতে প্রথমে ব্যাট করলে আমি চমকে যাব। |
উধাও মোহালির যন্ত্রণা। নেটে ধোনির সঙ্গে ইশান্ত। ছবি: প্রশান্ত মিত্র। |
মিচেল জনসনকে বাদ দিয়ে দু’দলের একজন বোলারকেও আমি স্বস্তিতে দেখছি না। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে প্রথমেই আসছে অশ্বিন আর ইশান্তের নাম। ওদের আত্মবিশ্বাস এই মুহূর্তে তলানিতে মনে হচ্ছে। একমাত্র ভুবি আর জাডেজা কিছুটা কাজ চালিয়ে দিচ্ছে। অমিত মিশ্র আর জয়দেব উনাদকটের মধ্যে অন্তত একজনকে দলে আনার এটাই হয়তো উপযুক্ত সময়। আমার তো মনে হয় ইশান্ত, অশ্বিন— দু’জনকে বিশ্রাম দিলে ওদেরই ভাল হবে। সবথেকে বড় কথা, আমাদের বোলিংটা নিয়ে এখনই একটু-আধটু ভাবা দরকার।
জনসন-সহ অস্ট্রেলীয় বোলাররাও অবশ্য পারছে না পরে ব্যাট করতে নামা ধোনিদের তিনশোর আগে থামাতে। আসলে ওয়ান ডে-তে এই কথায় কথায় তিনশো তুলে ফেলাটা ক্রিকেটে একটা নতুন ধারা হয়ে উঠছে। ছোট বাউন্ডারি। ভারী ব্যাট। নতুন নিয়ম। মোদ্দা কথা, টি-টোয়েন্টি সংস্কৃতি বোলারদের দফা-রফা করছে। মোদ্দা কথাটা হল, অধুনা ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের ভোজন-উৎসব চলছে। যেখানে বোলাররা এক-একজন এক-একটা গিনিপিগ। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের আদর্শ পিচগুলোতে। তাই ব্যক্তিগত ভাবে আমি চাই, এমন পিচ বানানো হোক যেখানে বোলাররা আর একটু অন্তত সাহায্য পায়।
এমনিতে সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতেও রায়না, জাডেজা আর যুবরাজ টিমে থাকবে ধরে নেওয়া যায়। শুধু তো ওরা ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছে না, অন্য ভূমিকাও আছে। ভুলবেন না, রায়না কী ভাবে অ্যারন ফিঞ্চকে রান আউট করেছিল। যুবির বাঁ হাতি স্পিনও খারাপ না বা জাডেজার গতিময় স্পিন। এই টিমের রিজার্ভে আম্বাতি রায়াডু ছাড়া কোনও ব্যাটসম্যান দেখতে পাচ্ছি না। তাই যুবিদের রেখেই সিরিজে টিম করতে হবে। মনে রাখবেন, ওরা উইকেটে টিকে যাওয়া মানে অজিদের আরও বিপদ। তা ছাড়া রায়না বা যুবরাজ তো অল্প ওভার পুঁজি করেই যে কোনও সময় নিজেদের দিকে ম্যাচ টেনে নিতে পারে। |
|
|
|
|
|