শিলচর থেকে উদ্ধার পাঁচটি তক্ষক, ধৃত ১০
চোরাপাচারের আগেই পাঁচটি তক্ষক (ইংরেজিতে গেকো) উদ্ধার করল রেল পুলিশ। পাচারে জড়িত অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা সকলেই রিয়াং সম্প্রদায়ভুক্ত। দু’জনের বাড়ি মিজোরামে, বাকিদের ত্রিপুরায়।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রাতে আগরতলা থেকে ট্রেনে শিলচরে পৌঁছয় ওই পাচারকারীরা। প্ল্যাটফর্মে তাদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হলে জিআরপি এবং আরপিএফ যৌথ তল্লাশি চালায়। দু’টি ব্যাগ থেকে ওই তক্ষকগুলি উদ্ধার করা হয়। জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, বিপদ রিয়াং নামে কাছাড় জেলার ভাগাবাজারের এক বাসিন্দা তাদের বলেছিল, শিলচর স্টেশনে ওই তক্ষকগুলিকে পৌঁছে দিতে। সে জন্য টাকাও দেওয়া হবে। পরে, ধৃতদের বন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
উদ্ধার হওয়া একটি তক্ষক। ছবি: স্বপন রায়।
বন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্তা নবেন্দু দে জানান, আদালত ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলিকে বড়াইল অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে। নবেন্দুবাবু জানিয়েছেন, পরিত্যক্ত বাড়িতেই বেশি তক্ষক থাকে। জঙ্গলেও ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় সে গুলিকে। বরাক উপত্যকার চা-বাগান অঞ্চলেও তাদের বাস।
নবেন্দুবাবু আরও জানান, কয়েকদিন আগেই তক্ষক পাচারের অভিযোগ তাঁদের কাছে পৌঁছেছিল। বন বিভাগের তরফে খোঁজখবর করা হয়। জানা যায়, ভাগাবাজারে একটি পাচারকারী চক্র রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে তক্ষক নিয়ে এসে প্রথমে মিজোরামে পাচার করা হয়। পরে মায়ানমার হয়ে সেগুলি পৌঁছয় চিনে।
চিনাদের বিশ্বাস, তক্ষকের ঔষধি গুণ রয়েছে। চোরাবাজারে একটির দাম হতে পারে কয়েক লক্ষ টাকাও। তাঁর কথায়, “বিরল না-হলেও তক্ষক বন্যপ্রাণীর ৫ নং তফসিলভুক্ত। বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, সেগুলিকে মারা, ধরা নিষিদ্ধ। পাচারচক্রটিকে ধরার চেষ্টা চলছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.