|
|
|
|
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণে নজরদারির সিদ্ধান্ত চিদম্বরমের
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি |
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির বাড়তে থাকা অনাদায়ী ঋণের বোঝা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি ‘মেনে নেওয়া যায় না’। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ১৪ হাজার কোটি টাকার বাড়তি মূলধন জোগানোর বিষয়টিও এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে এ দিন ব্যাঙ্ককর্তাদের প্রতিশ্রুতি দেন অর্থমন্ত্রী।
মূলত বড় মাপের ঋণগ্রহীতাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে চিদম্বরম বলেন, তারা সময়ে ঋণ শোধ না-করার ফলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখানে ১ কোটি টাকা ও তার বেশি অঙ্কের ঋণ যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন অর্থমন্ত্রী। এখন থেকে তাই প্রতিটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বকেয়া ঋণের দিক থেকে শীর্ষে থাকা ৩০টি অনাদায়ী ঋণ অ্যাকাউন্টকে কড়া নজরদারির আওতায় আনবে কেন্দ্র। লক্ষ্য, ওই খাতে পড়ে থাকা বকেয়া ঋণ, যা অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবে ব্যাঙ্কের দায় বাড়াচ্ছে, সেগুলি উদ্ধার করা। ব্যাঙ্কগুলিকেও ওই পড়ে থাকা ঋণের টাকা উদ্ধার করতে নিজস্ব ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে বলেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়লে স্বাভাবিক ভাবেই শিল্প ক্ষেত্রের ভাল ফলের হাত ধরে অনাদায়ী ঋণও কমবে বলে আশাবাদী চিদম্বরম। |

বৈঠক শেষে চিদম্বরম। ছবি: এএফপি। |
ঢিমেতালে চলা অর্থনীতি ব্যাঙ্কঋণ বাকি পড়ার অন্যতম কারণ। তবে অর্থনীতির যতটা হতাশাজনক ছবি অনেক সময়ে ফুটিয়ে তোলা হয়, বাস্তবে তা ঠিক নয় বলে এ দিন দাবি করেন চিদম্বরম। অনেক নতুন লগ্নি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে, যার জেরে বাড়ছে ব্যাঙ্কের ঋণদান। অর্থমন্ত্রী বলেন, “চলতি আর্থিক বছরে ১৭৩টি নতুন লগ্নি প্রস্তাব আমাদের হাতে এসেছে, যেগুলিতে ২৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসার কথা। সেগুলি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ঋণদান যতটা বেড়েছে, তাতেও সন্তোষ জানান অর্থমন্ত্রী। তবে বাড়তে থাকা বকেয়া ঋণের বিষয়টি যেহেতু গ্রহণযোগ্য নয়, তাই ব্যাঙ্কগুলিকেও ঋণগ্রহীতাদের নজরে রাখার আহ্বান জানান চিদম্বরম। প্রসঙ্গত, জুন পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মোট অনাদায়ী ঋণ ৩.৮৯%। শুধু স্টেট ব্যাঙ্ক গোষ্ঠীর জন্যই তা ৫.৫%।
মন্ত্রী অবশ্য উল্লেখ করেন, পরিস্থিতি ২০০০ সালের মতো ঘোরালো হয়ে ওঠেনি। সে সময়ে মোট অনাদায়ী ঋণ ১৪% ছুঁয়েছিল। তার পর এই হার বেশ কয়েক বছর যাবৎ ২ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। আর্থিক মন্দার কারণেই ঋণশোধ শ্লথ হয়ে পড়েছে বলেও এ দিন কবুল করেন অর্থমন্ত্রী। তবে তিনি বলেন, অর্থনীতি শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়াবে। ইতিমধ্যেই গৃহঋণ বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বেড়েছে যথাক্রমে ৪২ ও ৬১%। বাদবাকি সময়েও তা বাড়বে বলে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী। |
|
|
 |
|
|