আজ শপথ বর্ধমানে
গুসকরার পুনরাবৃত্তি চান না তৃণমূল নেতৃত্ব
শীর্ষ নেতৃত্বের বেছে দেওয়া পুরপ্রধান পদপ্রার্থীকে মেনে নিতে রাজি হননি দলের একাংশ। তৃণমূলে এই দ্বন্দ্বের জেরে মঙ্গলবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানই বাতিল হয়ে গিয়েছে গুসকরায়। পুরপ্রধান কে হবেন, বারবার বৈঠক করে সে ব্যাপারে একমত হতে পারেননি বর্ধমানের তৃণমূল কাউন্সিলররা। বুধবার বর্ধমানেও পুরপ্রধানের নাম আসবে মুখবন্ধ খামে। তা খোলার পরে দলের নানা কাউন্সিলর ও সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া কী হবে, গুসকরার ঘটনার পরে সে নিয়ে কিছুটা হলেও দোলাচলে তৃণমূল নেতারা। যদিও পুরপ্রধান ও উপপ্রধানের দৌড়ে থাকা কাউন্সিলররা জানান, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই চূড়ান্ত।
গুসকরায় মঙ্গলবার তখন চলছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ। ছবি: উদিত সিংহ।
বর্ধমান পুরসভার ৩৫-০ ফলে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, “সব কাউন্সিলারকে ডেকে দফায়-দফায় বৈঠক করেও কিন্তু সর্বসম্মত কোনও পুরপ্রধানের নাম ঠিক করা সম্ভব হয়নি। শেষে দলের তরফে সকলকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়, দল যাকে পুরপ্রধান করবে, তাকে সকলে মেনে নেবেন। কিন্তু এর পরেও যে কাল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে মিটবে, তার নিশ্চয়তা নেই। গুসকরার ঘটনার পরে আমাদের অনেক বেশি সতর্কতা ও কঠোরতা দেখাতে হবে।” কোনও রকম গোলমাল এড়াতে অবশ্য আগে থেকেই সতর্ক তৃণমূল নেতৃত্ব। ৩৫ জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে আজ, বুধবার পুরপ্রধানের নাম লেখা খাম খোলা হবে রুদ্ধদ্বার কক্ষে। সেখানে উপস্থিত থাকার অনুমতি নেই সংবাদমাধ্যমেরও।
তৃণমূলেরই একটি সূত্রে খবর, বর্ধমানে পুরপ্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন স্বরূপ দত্ত। তবে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরেশ সরকারকে এই পদে বসানোর দাবি রয়েছে দলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থক ও কাউন্সিলরদের একাংশের। উপ-পুরপ্রধান হতে পারেন পুরসভায় প্রায় চার দশকের বিরোধী দলনেতা সমীর রায়। তাঁর অনুগামীদের দাবি, প্রবীণ এই নেতা পুরপ্রধান হওয়ার যোগ্য। সমীরবাবুও উপপ্রধান হতে বিশেষ আগ্রহী নন। তাঁর বক্তব্য, “আমি উপপ্রধান হতে রাজি না হলেও দলে ওই পদে যোগ্য লোকের অভাব নেই।” তবে তাঁর অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমার তো গুণ্ডাবাহিনী নেই। তাই আমাকে নিয়ে কোনও গোলমালের আশঙ্কা নেই।”
উপ-পুরপ্রধান পদের অন্যতম দাবিদার খোকন দাস। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত অন্য রকম হলে তাঁর ঘনিষ্ঠ কর্মী-সমর্থকেরা গোলমাল পাকাতে পারেন, এ কথা মানতে চাননি খোকনবাবুও। তিনি বলেন, “আমাদের সব কাউন্সিলারকে কলকাতায় ডেকে বলা হয়েছে, দল যাকে পুরপ্রধান করবে, তাঁকেই মেনে নিতে হবে। গুসকরায় যা হয়েছে, বর্ধমানে তা হবে না।” শপথগ্রহণ নিয়ে গোলমালের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন স্বরূপ দত্তও। এ দিন ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, “কলকাতা থেকে আসা খামে আমার নাম লেখা থাকবে কি না জানি না। যদি থাকে, সে ক্ষেত্রে বলতে পারি, অন্তত ২৪-২৫ জন কাউন্সিলর আমার সঙ্গে রয়েছেন। তাই আমাকে নিয়ে দলে বিদ্রোহের আশঙ্কা নেই।”
মুখবন্ধ খাম খোলার সময়ে উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যের তিন মন্ত্রী তথা জেলার তিন বিধায়ক মলয় ঘটক, স্বপন দেবনাথ ও রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁদের মধ্যে এক জন মঙ্গলবার বলেই ফেললেন, “সব কিছু এখন ভালয়-ভালয় মিটলে বাঁচি!”

সাহিত্যিক সম্মিলনী
শহর ও আশপাশের এলাকার কয়েক জন কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে হয়ে গেল বিজয়া সম্মিলনীর আসর। মঙ্গলবার এই অনুষ্ঠান হল লালবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। উদ্যোক্তা কালনা শহরের নাগরিক সমাচার নামে একটি পাক্ষিক পত্রিকা। যোগ দেন সারা বাংলা রাইটার্স গিল্ডের সভাপতি শ্যামল বারুরি এবং কালনা কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আয়োজক সংস্থার তরফে পুলক মণ্ডল জানান, প্রতিবারই বিজয়া সম্মিলনীর আসরের আয়োজন করা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.