বারবার রাস্তা খারাপ, চাঁইপাটে ফের অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ফের সুলতাননগর-গোপীগঞ্জ রাস্তা সংস্কারের দাবিতে অবরোধ-আন্দোলন হল। এই নিয়ে এক বছরে তিন বার। সোমবার দাসপুরের চাঁইপাটে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন এলাকার বাসিন্দারা। পরে প্রশাসন ফের রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। স্থানীয় বিডিও অরূপ মণ্ডল বলেন, “সড়কটির অবস্থা খুবই বেহাল। বিষয়টি মহকুমাশাসককে জানিয়েছি।” |
 |
এমনই বেহাল সুলতাননগর-গোপীগঞ্জ রাস্তা। |
পূর্ত দফতর (সড়ক) সূত্রের খবর, দাসপুর বিধানসভা উপ-নিবার্চনের সময় সুলতাননগর-গোপীগঞ্জ রাস্তাটি সংস্কার শুরু হয়েছিল। প্রথম ধাপে চাঁইপাট পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার কাজ হয়েছে। চাঁইপাট থেকে গোপীগঞ্জ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়নি। এরই মধ্যে প্রথম দফার কাজ হওয়া অংশটি খারাপ হয়ে গিয়েছে। প্রতিবাদে মাস আটেক আগে টানা অবরোধ-আন্দোলনে নামেন এলাকাবাসী। তার পরেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ফের অবরোধ হয়। তখন পুরো রাস্তাটি নতুন করে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয় প্রশাসন। কাজও হয়েছিল। কিন্তু সংস্কার-কাজের এক মাস পেরোতে না পেরোতেই নতুন রাস্তা ফের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
কেন রাস্তাটি বারবার চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে? অভিযোগ, নিম্ন মানের কাঁচামাল দিয়ে রাস্তা তৈরি করার জন্যই এই দশা। পূর্ত দফতরের সঙ্গে ঠিকাদারদের অবৈধ আঁতাতেরও অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী। পূর্ত (সড়ক) দফতরের ঘাটাল মহকুমার সহকারী বাস্তুকার লক্ষ্মীকান্ত মাইতি বলেন, “রাস্তাটি নিয়ে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। ফের দু’একদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। বারবার কেন খারাপ হচ্ছে-এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত শুরু করব।” সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কী? উত্তর মেলেনি পূর্ত দফতরের কাছ থেকে। |
 |
প্রতিবাদে চাঁইপাটে অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র। |
এদিকে এই রাস্তাটি দাসপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। দাসপুর-২ ব্লকের সদর অফিস সোনাখালি যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তাটি। দ্রুত সারাইয়ের দাবিতে সোমবার সকাল আটটা থেকে চাঁইপাটে অবরোধ শুরু করেন এলাকাবাসী। বারবার রাস্তা খারাপের কারণ জানতে তদন্তেরও দাবি করেন তাঁরা। দুপুর দু’টোর সময় পুলিশ, বিডিও ও পূর্ত দফতরের (সড়ক) সহকারী বাস্তুকারের সঙ্গে অবরোধকারীদের বৈঠক হয়। চলতি সপ্তাহেই কাজ শুরু ও ঘটনার তদন্তের প্রতিশ্রুতি আদায় করে তিনটের পর অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী। অবরোধকারীদের তরফে পুলক সামন্ত, গৌতম মণ্ডল বলেন, “ঠিকঠাক তদন্ত এবং চলতি সপ্তাহে কাজ শুরু না হলে ফের আন্দোলনে নামব।”
রাস্তার বিষয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই পাশে পেয়েছেন এলাকাবাসী।
|
পুরনো খবর: জলে ক্ষতি রাস্তার, দ্রুত সংস্কার নিয়ে বৈঠক |
|