টুকরো খবর
স্থায়ী সমিতি গঠনের দু’সপ্তাহে পদত্যাগ
গঠনের মাত্র দু’সপ্তাহের মাথায় পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ ও মৎস্য দফতরের স্থায়ী সমিতির সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তৃণমূল সদস্য বিনোদ মুর্মু। সোমবার বিনোদবাবু পাঁশকুড়ার বিডিও’র কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগের কারণ নিয়ে অবশ্য মন্তব্য করতে রাজি হননি বিনোদবাবু। তবে এলাকার খবর, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির ৪০ জন সদস্যের মধ্যে ২০ জন তৃণমূলের, বামফ্রন্টের ১৮ জন ও ২ জন কংগ্রেসের। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনের দিন তৃণমূল জয়ী হলেও দলেরই ৪ জন সদস্য অনুপস্থিত থাকায় গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে ক্ষমতাসীন হয় পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমানের গোষ্ঠীর লোকজন। তৃণমূল নেতা জাইদুল খানের গোষ্ঠীর সদস্যরা কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। গত ৭ অক্টোবর পঞ্চায়েত সমিতির বিভিন্ন দফতরের স্থায়ী সমিতি গঠন হয়। স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্য পদগুলিতেও আসীন হন আনিসুরের অনুগামী লোকজন। শুধু পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ ও মৎস্য দফতরের স্থায়ী সমিতির সদস্য হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছিল আনিসুর বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্য বিনোদবাবুকে। তৃণমূলের ঘোষপুর অঞ্চল সভাপতি বিনোদবাবু এলাকায় জাইদুল খানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। দু’সপ্তাহের মাথায় তিনি স্থায়ী সমিতির সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পিছনে সেই গোষ্ঠীকোন্দলই কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে দিচ্ছে আনিসুর গোষ্ঠী। আনিসুরের ঘনিষ্ঠ ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুজিত রায় বলেন, “বিনোদবাবু কী কারণে পদত্যাগ করেছেন, আমাদের জানাননি।”

জওয়ানের মৃত্যু
এক ইএফআর জওয়ানের মৃত্যু হল নন্দীগ্রামের ক্যাম্পে। মৃতের নাম প্রেমচাঁদ রাই (৫৫)। বাড়ি দার্জিলিঙে। সোমবার ভোরে অসুস্থ অবস্থায় ওই জওয়ানকে নন্দীগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। খড়্গপুরের সালুয়ার ইএফআর’এর থার্ড ব্যাটেলিয়নের জওয়ান প্রেমচাঁদ নন্দীগ্রাম থানা সংলগ্ন ক্যাম্পে থাকতেন। সোমবার ভোরে ক্যাম্পের মধ্যে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাঁকে থানার কাছেই নন্দীগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে জমি রক্ষা আন্দোলনকে ঘিরে অশান্তির সময় থেকেই নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি স্থানে ইএফআর ক্যাম্প বসানো হয়। পরে অধিকাংশ ক্যাম্প তুলে নেওয়া হলেও এখনও নন্দীগ্রামের সোনাচুড়া, ভাঙ্গাভেড়া ও নন্দীগ্রাম থানার অফিস চত্বরে মোট তিনটি ইএফআর ক্যাম্প রয়েছে।

দেহ উদ্ধার
বস্তাচাপা দেওয়া এক প্রৌঢ়ের মৃতদেহ উদ্ধার করল দুর্গাচক থানার পুলিশ। মৃতের নাম সুকুমার জানা (৫৫)। বাড়ি ভগবানপুরের কোটনাউড়ি মোড়ে। রবিবার মঞ্জুশ্রী মোড়ের একটি পেট্রোল পাম্পের পাশে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। সুকুমারবাবু দুর্গাচক থানার ভ্যগ্যবন্তপুরে একটি লেদ কারখানার কর্মী ছিলেন। সেই সূত্রে তিনি সেখানে থাকতেন। পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে। মৃতের ভাই প্রদীপ জানা জানান, রবিবার রাতে খাওয়ার পর তিনি বাড়ির বাইরে যান। তার কিছুক্ষণ পরে তাঁর মোবাইল থেকে কেউ একজন ফোন করে জানান, সুকুমার জানা নিখোঁজ।

নিখোঁজ কিশোর
কাঁসাই নদীতে তলিয়ে যাওয়া কিশোরের এখনও খোঁজ মিলল না। রবিবার সকালে পাঁশকুড়ার গোবিন্দনগরের কাছে মাছ ধরতে জাল ফেলার সময় কাঁসাই নদীতে তলিয়ে যায় স্থানীয় বেলদা গ্রামের কিশোর সৌরভ জানা। পুলিশের উদ্যোগে হলদিয়া থেকে তটরক্ষী বাহিনী গিয়ে বছর ষোলোর ওই কিশোরের সন্ধানে কাঁসাই নদীতে তল্লাশি চালায়। সোমবার তাঁরা ফের তল্লাশি চালালেও ওই কিশোরের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

অনুর্ধ্ব ১৪ বাংলা দলে মনোনীত ঝাড়গ্রামের ছাত্র
ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
ঝাড়গ্রাম রঘুনাথ মেমোরিয়াল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ছাত্র সিঞ্চন জানা অনুর্ধ্ব ১৪ বাংলা দলে খেলার জন্য মনোনীত হয়েছে। ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র সিঞ্চন শীঘ্রই (২৫ অক্টোবর থেকে) প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিতে কলকাতা যাচ্ছে। সিঞ্চনের কোচ তাপস দাস বলেন, “জঙ্গলমহল থেকে এই ধরনের সুযোগ পাওয়া সত্যিই গর্বের বিষয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.