নতুন মোড় নিল ফুটবলবিশ্ব তোলপাড় করা ‘ঘোস্ট গোল’ বিতর্ক। ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ম্যাচটা রিপ্লে করানোর জন্য আবেদন জানাবেন হফেনহাইমের কর্তারা।
সোমবার জার্মান ফুটবল সংস্থার কর্তারা ‘ডিএফবি কোর্টে’ আলোচনায় বসতে চলেছেন গোলের ব্যাপারে তদন্ত করতে। এ দিনই আবার সরকারি ভাবে ম্যাচের রিপ্লে চেয়ে ফুটবল সংস্থার কাছে চিঠি পাঠাচ্ছে লেভারকুসেন। অবৈধ গোলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে হফেনহাইমের ডিরেক্টর আলেকজান্ডার রোসেন বলেন, “কোনও সন্দেহ নেই যে গোলটা অবৈধ ছিল। আমরা অবশ্যই প্রতিবাদ জানাব। দরকার পড়লে আর এক বার ম্যাচটা খেলানো হোক।” পাশাপাশি যাঁর গোলে যাবতীয় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, সেই স্টিভন কিসলিং বলেন, “প্রথমে আমি ভেবেছিলাম বলটা জালে জড়ায়নি। হঠাৎ দেখলাম সতীর্থরা সবাই আমার সঙ্গে সেলিব্রেট করতে আসছে আর বলটা জালে। তখন আমি আর কী বা করতে পারতাম? রেফারিকেও বলেছিলাম বলটা কী করে জালে ঢুকল।” সঙ্গে কিসলিং আরও যোগ করেন, “এখন যখনই গোলটার ছবি দেখছি, খুব খারাপ লাগছে। |
সবাই আমার সমালোচনা করছেন কিন্তু আমার কী করার আছে। রেফারি কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা দেখা আমার কাজ নয়।” ম্যাচের পরেই তীব্র কটাক্ষ করা হয় ম্যাচ রেফারি ফেলিক্স ব্রিচকে। তিনি যে নির্দোষ সেটা বোঝানোর জন্য ব্রিচ ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, “আমার সন্দেহ হয়েছিল যে বলটা আদৌ গোলে ঢুকেছে কি না। কিন্তু ফুটবলারদের প্রতিক্রিয়া দেখে আমি বাধ্য হই গোলটা দিতে।” ম্যাচটার ভাগ্য নির্ধারণ করতে জার্মান ফুটবল সংস্থা ইতিমধ্যেই ফিফার দ্বারস্থ হয়েছে। ফিফা আপাতত এই নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত না নিলেও রিপ্লের দাবি নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে বলে খবর।
তবে হফেনহাইম কর্তারা ম্যাচের রিপ্লে চাইলেও জার্মান ফুটবল সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট রেইনার কোচ বলেন যে এ সব ব্যাপারে ফিফা রেফারির পক্ষেই সাধারণত সিদ্ধান্ত দেয়। “আমরা বুঝতে পারছি যে ওটা গোল ছিল না। তবুও ফিফা রেফারির সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত বলে মনে করে।” কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্টকে পাল্টা জবাব দিয়ে হফেনহাইমের কোচ মার্কাস গিসদোল বলেন, “রিপ্লে না হলে কিছু বলার নেই। শুধু এটুকু বলব, যদি সত্যিই তা হয়, ফুটবলের উপর সবার ভরসা উঠে যাবে।”
|